স্নাতক-স্নাতকোত্তর যে বিষয়েই করুন না কেন, ইংরেজি আপনাকে জানতেই হবে। ইংরেজি শেখা মানে শুধু শব্দভান্ডার এবং ব্যাকরণ শেখা নয়। শোনা, কথা বলা, লেখা এবং পড়ার মতো দক্ষতা অর্জন করাও জড়িত। ইংরেজি না জেনে কোনো ডিগ্রি বা ভালো চাকরি পাওয়া এখন বলতে গেলে অসম্ভব। তাই প্রায় সব মানুষই ইংরেজিতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সমীহ করে থাকেন। তাছাড়া আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। হাতে গোনা যে কয়েকটি বিভাগ নিয়ে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চালু হয়েছিল, এর মধ্যে ইংরেজি ছিল অন্যতম। ‘ইংরেজ সূর্য কখনো ডুবে না’ প্রবাদের মতই একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে এ বিভাগ তার গুরুত্ব, জনপ্রিয়তা ও সামাজিক অবস্থান ধরে রেখেছে। মূলত এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই সফলতার সঙ্গে ‘ইংরেজি বিভাগ’ পরিচালনা করে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ বর্তমানে এ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফ্যাকাল্টি মেম্বার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি প্রোগ্রাম কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে মানসম্মত শিক্ষার্থী, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক, কোয়ালিটি কোর্স কারিকুলাম, দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উন্নত ভৌত অবকাঠামো। 

কী পড়ানো হয়
আমাদের দেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দু’টি প্রধান বিষয়ের উপর ইংরেজিতে পড়াশোনা করা যায়। একটি হলো ‘ভাষা’ এবং অন্যটি ‘সাহিত্য’। অনার্স পর্যায়ে মূলত ইংরেজি ভাষায় রচিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও ভাষাবিদ্যা পড়ানো হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এসবের পাশাপাশি সাহিত্যতত্ত্ব ও ইংরেজি ভাষা শেখানোর তত্ত্ব, নীতি ও পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়। অবশ্য ইংরেজির নিজস্ব জগতের বাইরেও বাংলা সাহিত্যের পরিচিতি, ইতিহাস, দর্শন, নৃবিজ্ঞান ও সংস্কৃতি অধ্যয়নও এ বিভাগে পড়ানো হয়।

ক্যারিয়ার কেমন
ইংরেজি বিভাগের গুরুত্ব সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। ইংরেজিতে দক্ষতা আছে কিন্তু চাকরি নেই, এমনটা বর্তমান সময়ে বিরল ঘটনা। ইংরেজিতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বমহিমায় কাজ করে যাচ্ছেন। একবিংশ শতাব্দীর বৈচিত্র্যময় শ্রমবাজারে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতার কদর বলাই বাহুল্য। বাস্তবিক এ প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে যুগোপযোগী আধুনিক কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যকে এক সুতোয় গেঁথে পাঠদান করে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগ।

আজকাল সরকারি চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের স্বপ্ন; যদি আপনি একটি সরকারি চাকরি পেতে চান তাহলে ইংরেজি অবশ্যই জানতে হবে। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবেন এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরধারীরা। এ বিষয়ে বড় একটি জায়গা দখল করেছে রেখেছে বিসিএস ক্যাডার (জেনারেল ও টেকনিক্যাল)। অন্যান্য সরকারি চাকরির মধ্যে ইংরেজি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রকাশনা সংস্থাগুলোতেও আজকাল অনুবাদকদের বেশি চাহিদা। ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পর্যটন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়। ইংরেজি ভাষায় দক্ষরা ট্যুর গাইড ও ট্যুর অপারেটর হিসেবেও কাজ করতে পারেন। ইংরেজি থেকে বিএ বা বিএড, এম এ, এম এড করার পর স্কুলে শিক্ষক হিসাবে ক্যারিয়ার গড়া যেতে পারে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কাজ শুরু করার সুযোগ তো রয়েছেই।

কেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে গ্রিন ইউনিভার্সিটি এখন উল্লেখযোগ্য নাম। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় এটি এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। স্বনামধন্য ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করে না, পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ারের দিক নির্দেশনা প্রদান, ইন্টার্নশিপ ও চাকরি প্রাপ্তির জন্য কাজ করে থাকে। এজন্য গড়ে তোলা হয়েছে সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি)। ক্রেডিট ট্রান্সফার করে দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ তো রয়েছেই।

অবকাঠামো ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা পাচ্ছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এজন্য ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

সুযোগ-সুবিধা
অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর টিউশন ফি মওকুফের সুবিধা দিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছে। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি, ছাত্রী এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিশেষ সুবিধায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে। ভর্তির পর পরীক্ষার ফলাফলের ওপর বৃত্তি দেওয়া হয়।

পিএইচ