সমাজ ও সমাজের মানুষ নিয়ে গবেষণাই সমাজ বিজ্ঞানের মূল পাঠ্য। এটি পড়লে শুধু পরিবর্তনশীল সমাজব্যবস্থা নয়, সামাজিক সমস্যা দূর করতেও হওয়া যায় সচেতন। তবে এটিকে ছাপিয়ে যেটা জানা দরকার তা হলো- সমাজবিজ্ঞান পড়ে ভবিষ্যৎ কাজের সুযোগ কেমন? কোন কোন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে সেটাও জানা জরুরি। আর এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই সফলতার সঙ্গে ‘সমাজবিজ্ঞান বিভাগ’ পরিচালনা করে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

অনেক শিক্ষার্থীই ভাবতে পারেন সমাজবিজ্ঞান পড়ে ভালো কোনো চাকরি পাওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো সমাজবিজ্ঞান বর্তমান বিশ্বে অধিক গ্রহণযোগ্য একটি বিষয়। শুধু বাংলাদেশেই নয় পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে নিত্য-নতুন গবেষণা হচ্ছে। সামাজিক যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই সমাজবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি করানো হচ্ছে। এই ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান পড়ানো হয়। এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর অনেক নতুন শিক্ষক যোগদান করেন, যারা সমাজবিজ্ঞান থেকে ভালো ফলাফল করে বের হচ্ছেন বা হবেন তাদের জন্য নিজের বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার অনেক বড় সুযোগ থেকে যাচ্ছে।

সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নানাবিধ সমস্যা তথা ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, বেকারত্ব, মাদকাসক্ত, বিবাহ বিচ্ছেদ, কিশোর অপরাধ, চুরি, ছিনতাই, শিশু-কিশোর, যুবক ও বয়স্ক স্বাস্থ্য সমস্যার মাত্রা ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করছে, সামাজিক এইসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তার জন্য সবচেয়ে বেশি সামাজিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা

বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. আবুল হোসেন বললেন, শিক্ষার্থীবান্ধব বিভাগ গ্রিন ইউনিভার্সিটির ‘সমাজবিজ্ঞান’। তুলনামূলক অধিক যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদান করাই এই বিভাগের বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের কারিকুলামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদের দেশীয় চাকরির উপযোগী করে গড়ে তুলতেও তারা সদা সচেষ্ট। 

বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করে থাকে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার সৌম্য সরকারসহ মহিলা ক্রিকেট দলের সানজিদা ও সুরাইয়া এই বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়াও জাতীয় ফুটবল দলে ৪জন এবং জাতীয় হকি দলে ৬জন খেলোয়াড় এখানকার সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

অগাধ কর্মের হাতছানি রয়েছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়ুয়াদের জন্য। বিসিএস থেকে শুরু করে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পাশাপাশি দাতব্য এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় পেশাগতভাবে কাজ করার সুযোগ এই বিভাগের ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্ররা বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান যেমন ইউএনডিপি, ইউনেসকো, ইউনিসেফে চাকরি করে আন্তর্জাতিক স্কেলে বেতনপ্রাপ্ত হন। দেশের বাইরে তথা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে সমাজবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারীদের রয়েছে বিশেষ কদর।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানে কেন পড়বেন?
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে গ্রিন ইউনিভার্সিটি একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় এটি এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। বর্তমানে পূর্বাচলের আধুনিক ক্যাম্পাসে চলছে এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির চুক্তির আওতায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা এ্যাসেটসহ গ্রুপের ১০ প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরির সুযোগ পাচ্ছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চাকরির বাইরেও শতভাগ ডিজিটাল ক্যাম্পাস ও ক্লাসরুমে বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়াশোনা এবং চাকরিরত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে এখানকার সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে চার বছর মেয়াদি বিএসএস ইন স্যোশিওলোজি প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের ফলাফলের উপর ওয়েভার দিয়ে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি, আপন ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড় অন্যান্য ক্যাটাগরি খেলোয়াড়দের বিশেষ ছাড়ে ভর্তি করাচ্ছে এই ইউনিভার্সিটি। ভর্তির পর পরীক্ষার ফলাফলের উপরও বৃত্তি দেওয়া হয়। যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায়- গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, পূর্বাচল আমেরিকান সিটি, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

পিএইচ