সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পদায়ন করা হয়েছে। আলোচিত এই নিয়োগ প্রশ্ন ফাঁস ও পরীক্ষা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছিল। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষা ভবনের একজন বিসিএস কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন, যা শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।   

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিসের পাঁচ কর্মচারী পদে দুই হাজার ২৫৯ জন প্রার্থী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী, ২০তম গ্রেডে বেতনের অফিস সহায়ক পদে এক হাজার ৭০৪ জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ২৪৭ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ১৬৩ জন, মালী পদে ৯৯ জন ও ১৯তম গ্রেডে বুকসর্টার পদে ৪৬ জন প্রার্থীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সুপারিশে এ দুই সহস্রাধিক প্রার্থীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা অফিসে পদায়ন দেওয়া হয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে আলাদা আদেশ জারি করা হয়।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পাঁচটি পদে নিয়োগে ২০২০ সালে ২২ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পরে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের গত ১৪ নভেম্বর নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে বিভাগীয় নির্বাচন কমিটি। সে সুপারিশের আলোকে এ দুই হাজারের বেশি প্রার্থীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে অধিদপ্তর।

নিয়োগ দিয়ে জারি করা আদেশই এ দুই হাজারের বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষা অফিস ও সরকারি স্কুল-কলেজে পদায়ন দেওয়া হয়েছে।

এনএম/কেএ