ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তাকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

এতে বলা হয়েছে, আসিফ মাহতাব উৎস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডজান্ট ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে কাজ করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তির আওতায় নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তার কর্মীদের এবং তাদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়টি তার অনুষদ এবং ছাত্রদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখে এবং সহযোগিতামূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কলিগগত (সহকর্মী) আচরণের প্রচার করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া অফিসিয়াল ই-মেইলও ডিজেবল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহতাব। সোমবার বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান।

ই-মেইল ডিজেবলের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, আমার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ই-মেইল ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্প ‘শরীফ থেকে শরীফা’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য প্রদান করায় এবং জনসম্মুখে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে আন-অফিসিয়াল না করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, রোববার রাতে শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার ফোনালাপের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কল রেকর্ডে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা শিক্ষক আসিফকে আগামীকাল (সোমবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তটি জানাচ্ছেন।

তখন শিক্ষক আসিফ এ কলের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিপরীত পাশে থাকা ব্যক্তির কাছে অফিসিয়াল বার্তার কথা জানতে চান। তিনি বলেন, আগামীকাল আমার ক্লাস আছে। সেক্ষেত্রে আমাকে এটার সত্যতা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিপরীত দিক থেকে বলতে শোনা যায়, একচুয়ালি আমি এ সেকশনেই আছি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমাকে আপনার এ তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি আপনাকে সে তথ্যটাই জানিয়ে দিলাম। যদি অফিসিয়াল কোনো নোটিশ থাকে, পরে সেটি শেয়ার করব।

এনএম/এমজে