প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য বছরের মতো এবার ঘটা করে বই উৎসব হচ্ছে না। তবে সীমিত পরিসরে ২৩ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাধ্যমিকের ১৪ এবং প্রাথমিক স্তরের ৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে ভার্চুয়ালি বই তুলে দেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সকাল সাড়ে ৯টায় এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী দশটার পর ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, বিআইসিসিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবক, শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন।

এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি বছরের মতোই এবার নতুন বছরের বই বিতরণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার যেহেতু করোনার পরিস্থিতি বিদ্যমান তাই ভার্চ্যুয়ালি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন তিনি। পরের দিন থেকে ১২ দিনব্যাপী দেশব্যাপী বই বিতরণ হবে। 

জানা গেছে, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিআইসিসি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে অনুষ্ঠানটি করা হবে সে নির্দেশনা দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বই বিতরণ দিয়ে নতুন নির্দেশনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

ভার্চুয়াল সংবাদ সস্মেলনে জানানো হয়, করোনার পরিস্থিতির কারণে এবার একদিনে না করে শ্রেণি ভাগ করে মোট ১২দিনে বিতরণ করা হবে বিনামূল্যের বই।

এরপর বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তুক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর পাঠ্যপুস্তক ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণ করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য তিনদিন করে সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চার শ্রেণিতে সপ্তাহে তিনদিন করে মোট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে।

অন্যদিকে প্রাথমিক স্তুরের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে এবার অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। জাকির হোসেন বলেন, এ বছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব আয়োজন করা হবে না, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভিভাবকরা স্কুল থেকে সন্তানদের বই সংগ্রহ করবেন।

এনএম/এসএম