অবশেষে অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া‌ ১৬৯ জন‌ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ‌ কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই এ বছরের (২০২৪) জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছিল।

জানা গেছে, অবৈধভাবে ভর্তি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করে আগামীকাল বুধবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টকে জানানোর নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। তার আগেই এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করল ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার ভিকারুননিসা স্কুলের একটি সূত্র তাদের ভর্তি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করতে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ‌তাদের ভর্তি বাতিল করে মাউশিকে জানাতে বলা হয়।

জানা গেছে, বাতিল শিক্ষার্থীরা বেইলি রোডের  মূল শাখা, আজিমপুর,‌ ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা শাখার শিক্ষার্থী।

মাউশির চিঠিতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাটা ছিল বিধিবহির্ভূত। এ অবস্থায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জনসহ মোট ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরিভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। সাড়া না পেয়ে ওই দুই অভিভাবক হাইকোর্টে রিট করেন। গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। সেই নির্দেশনা অ্যাফিডেভিট আকারে আজ হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়।

আজ হাইকোর্ট বলেছেন, মাউশির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। 

এনএম/এমজে