শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ অবশ্যই বাড়াতে হবে। কিন্তু কোন জায়গায় বাড়াতে হবে, তা আগে ঠিক করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ১০-১২ তলা প্রশাসনিক ভবন করার প্রস্তাব আমরা পাই, কিন্তু একাডেমিক পরিকল্পনার প্রস্তাব পাই না। আমরা একাডেমিক লক্ষ্য পূরণের জন্য যা উন্নয়ন দরকার, তা অবশ্যই করব। আমরা শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে কাজ করব।  

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা-শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনারা সুযোগ-সুবিধা ও বেতন-ভাতার কথা অবশ্যই বলবেন। কিন্তু এর আগে আমাদের দায়িত্বের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আমাদের সনাতন চিন্তা চেতনায় আটকে থাকলে চলবে না। শিক্ষাকে সার্বজনীনভাবে দেখতে হবে। দক্ষতা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাসহ সব বিষয়ে শিক্ষা ক্যাডাররা কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

মূল প্রবন্ধে সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধিতে বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে-বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের মতো শিক্ষার একটি মন্ত্রণালয়ে ফিরে যাওয়া, শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে পরিচালনা, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা, কাম্য সংখ্যক শিক্ষকের পদ সৃজন ও নিয়োগ প্রদান, শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত কাম্য পর্যায়ে স্থির করা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য যুগোপযোগী জনবল কাঠামো সৃষ্টি অন্যতম।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র সরকার। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।

আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত হোসেন মোল্যা ও সহ সভাপতি অধ্যাপক মো. মামুন উল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেমিনার সম্পাদক মোহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান।

এনএম/কেএ