বাদ পড়া ডিগ্রি (পাস) কলেজের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ফের সভা ডেকেছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম সভাপতিত্ব করবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিস কক্ষে এ সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ডিগ্রি ৩য় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য সভায় উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।

জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত বেসরকারি কলেজে স্নাতক (পাস) পর্যায়ে এনটিআরসিএ’র নিয়োগ করা তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটায় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ বাদ পড়া ডিগ্রি (পাস) কলেজের তৃতীয় শিক্ষকেরা আট শর্তে এমপিভুক্তর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের এমপিওভুক্তির নিদের্শ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত হওয়া ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষকরা প্রভাষক হিসেবে চাকরি শুরু করবেন নবম স্কেলে, ২২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে। এর সঙ্গে তারা অল্প কিছু বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন।

২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি ডিগ্রি স্তরের কয়েকজন তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী ডিগ্রি স্তরে একটি বিষয় পড়ানোর জন্য একটি কলেজে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুযায়ী কলেজে দু’জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যায়। ফলে ৩ জনকে নিয়োগ দিলেও একজন এমপিওভুক্তির বাইরে থেকে যান। কলেজগুলোতে ওই শিক্ষককে ‘তৃতীয় শিক্ষক’ বলা হয়। এমপিওভুক্ত হতে তৃতীয় শিক্ষকেরা উচ্চ আদালতে গেলে আদালত তাদের পক্ষে আদেশ দেয়। এর পর থেকে এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা শুরু হয়।

এনএম/এসএম