নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সব ধরনের নিয়োগে প্রায় দুই বছর নিষেধাজ্ঞা থাকার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাবেক উপাচার্যের শেষ সময়ের দিকে নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের কারণে দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ নিয়ে আর কোনো বাধা থাকছে না।

গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়োগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বেশকিছু শর্ত বেধে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের নিয়োগের অনিয়ম তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশ করে। এর কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে মন্ত্রণালয় নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্তাবলি শর্তাবলি পুরোপুরি অনুসরণ করে তারা ভবিষ্যতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো দিদার-উল-আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু নিয়ম-কানুন বেধে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামানের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নোবিপ্রবিতে সব ধরনের নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দীর্ঘদিন ধরে বহাল থাকা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার ফলে অনিশ্চয়তায় সময় কাটাচ্ছিলেন ৬০ জনের বেশি শিক্ষক এবং প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দুই বছরের অধিক সময় পার হলেও অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং মাস্টার রোলে নিয়োগপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের পরে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত জুনিয়ররাও পদোন্নতি পেয়ে পদমর্যাদায় অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের ওপরে অবস্থান করছেন। এছাড়াও পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।

এনএম/এফআর