সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা

করোনা পরিস্থিতিতে চীন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু তাদের আর ফিরে যাওয়া হয়নি।  

সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

তারা জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস ছড়াতে থাকলে অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেড় বছর পার হলেও তাদের আর চীনে ফিরে যাওয়া হয়নি।

চীনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রকৌশল, এমবিবিএস এবং গবেষণার কাজে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। যারা ফিরেছেন তারা দেশে বসে অনলাইন পাঠ্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। কিন্তু এটাকে যথেষ্ট মনে করছেন না তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, চীন সরকার সে দেশে প্রবেশের শর্ত হিসেবে তাদের উৎপাদিত টিকার কথা উল্লেখ করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার চীনের টিকার স্বীকৃতি দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি চীনের দেওয়া পাঁচ লাখ টিকায় তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। এ মর্মে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরে একটি তালিকা জমা দিয়েছে। 
 
চীনে ফিরে যেতে তিনটি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

১। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারের মধ্যেই চীনে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।

২। দ্রুততম সময়ে চীনে গমনেচ্ছুক সব শিক্ষার্থীদের চাইনিজ ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করা।

৩। দীর্ঘ ৭ মাস ধরে বন্ধ থাকা চীনে গমনেচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যবসায়িক, চাকরি ও পারিবারিক ভিসা পুনরায় চালু করা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন, চাংহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলে রাব্বি, হেনান পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবিদ আশরাফ বিশাল, নিংশিয়া মেডিকেলের শাহরিমা তানজিনা রিতু প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ফ্রেন্ডস অফ সিল্ক রোডের আহ্বায়ক তরুন কান্তি দাস।