প্রতীকী ছবি

করোনার কারণে এক বছর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২১ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। তাই পরীক্ষার দিন ঘোষণা করার পর তাদের সিলেবাস শেষ করার জন্য একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি পাঠিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে শিক্ষা কার্যক্রমসহ বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের জন্য ১৪টি দাবি তুলে ধরা হয়েছে স্মারকলিপিতে।

শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাসে না আসা পর্যন্ত অনলাইনে পাঠদান ঠিক রাখতে তাদের বিনামূল্যে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা, করোনার পরবর্তী বছর হিসেবে ২০২১ সালের জন্য সব শ্রেণিতে পাঠ্যক্রমকে সুনির্দিষ্ট করে আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া, বিটিভি-বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বেসরকারি প্রিন্ট মিডিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদানের আওতায় আনা। অনলাইনে পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরালো করতে স্মারকলিপিতে দাবি জানিয়েছে।

এমপিও নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো সবার সামনে উন্মুক্ত করা, বেসরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া, কলেজের সিনিয়র প্রভাষক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ বাতিল করা, করোনা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত নন-এমপিও শিক্ষকদের নিয়মিত সম্মানজনক আর্থিক প্রনোদনার ব্যবস্থা, মুজিববর্ষে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা, অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টকে একীভূক্ত করে বেসরকারি শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ পেনশন দেওয়ার দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। 

এসব দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন, করোনায় শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষাতে সরকারের নেওয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। তাই এসব দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরেছি। 

এছাড়াও বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি গত কয়েক বছর ধরে তুলে ধরলেও সরকার কর্ণপাত করছে না। এবার দাবিগুলো না মানলে আমরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।

এনএম/জেডএস