পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক-অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে (সাড়ে ৩ লাখ) করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কেবল আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে নয় সংস্থাটি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার। 

গতকাল বুধবার (২৬ মে) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন আবাসিক হলে অবস্থান করা ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।  

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) এক সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. মো. আবু তাহের ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ইউজিসির এ প্রস্তাবে রাজি নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবাসিক হলে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করে খুলে দেওয়ার পক্ষে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্ত বলেও আলোচনায় উঠে আসে। এটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়। এ ধরনের একটি প্রস্তাব ইউজিসি থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী রোববার (৩০ মে) পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সভা শেষে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, একটা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত ছিল আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আজ কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। এ সংক্রান্ত সুপারিশ আমরা রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব

তিনি আরও বলেন, ক্লাসে তো সব শিক্ষার্থীই আসবে, তাই শুধু হলের শিক্ষার্থীদের দিলেই হবে না, সব শিক্ষার্থীকেই টিকা দিতে হবে। হলের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে।

ইউজিসির চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একইসঙ্গে পড়বে, চলাফেরা করবে, তাদের মধ্যে কেউ টিকার বাইরে থাকলে তা সবার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। এ জন্য আমরা চাই সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক।

এনএম/এসকেডি/জেএস