এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেও দুই বছরেও এমপিও হতে পারছেন না এক হাজার ২৭০ জন শিক্ষক।

পদ না থাকার পরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শূন্য পদ দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তাদের সুপারিশ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তারা দেখেন পদ শূন্য নেই। এতেই কপাল পুড়েছে ওই শিক্ষকদের।

গত দুই বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ঘুরেও তারা কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। সর্বশেষ গত বছর জুনে সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে চরম হতাশায় পড়েছেন এসব প্রার্থীরা।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) তারা এনটিআরসিএ নতুন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

সেখানে বঞ্চিতরা জানান, তারা ২০১৮ সালে ২য় নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভুল তথ্যের কারণে নিয়োগ ও এমপিও হচ্ছে না।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নতুন চেয়ারম্যান আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা এ আশ্বাসে আরো কিছু দিন বিশ্বাস রাখতে চাই। না হলে আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবো।

প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর পহেলা জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মহিলা কোটায় নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন জটিলতা, নব-যোগদানকারী নিয়োগ ও এমপিও বঞ্চিতদের সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে তৎকালীন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষামন্ত্রী সব সমস্যা সমাধানে এনটিআরসিএ-কে ৬টি দিক-নির্দেশনা দেন।

এরপর গত ৬ মাসে মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট ও অন্যান্য পদের সমাধান হলেও নিয়োগ ও এমপিও বঞ্চিত এক হাজার ২৭০ জনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনটিআরসিএ।

এনএম/এসআরএস