দেশের ১৩টি শতবর্ষী কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা নিয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনার কারণে আটকে গেল শতবর্ষী সেসব কলেজের ভর্তি পরীক্ষা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১৩টি শতবর্ষী কলেজে ভর্তি পরীক্ষার পরিকল্পনা থাকলেও সেটি নেওয়া হচ্ছে না। এসএসসি ও এইচএসসি ফলের ভিত্তিতেই এসব কলেজে এবার ভর্তি নেওয়া হবে। তবে আগামী বছর থেকে শতবর্ষী কিংবা ৫০ বছরের বেশি বয়সের কলেজে আলাদা পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের ১৩টি শতবর্ষীসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী কলেজে এবার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল। এ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নীতিনির্ধারকদের নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তা আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এসব কলেজে এবারও এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, শতবর্ষী কলেজগুলোতে পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা সেখান থেকে সরে এসেছি। এসব কলেজে এবারও ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। তবে আগামীতে শতবর্ষী কিংবা ৫০ বছরের বেশি বয়সের কলেজে আলাদা পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে— সেটি আমাদের ভাবনায় রয়েছে।

১৩টি শতবর্ষী কলেজ হচ্ছে- রাজশাহী কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ, সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ, পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ,  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, খুলনার সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, বাগেরহাটের সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) কলেজ, ও ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ।

তবে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ শতবর্ষী হলেও এসব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এসব কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

এনএম/ওএফ