মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের প্রতীকী ছবি

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে অ্যাসাইনমেন্টের নামে অর্থ আদায়, বকেয়া বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।  এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

বরগুনার আমতলী কুকুয়া আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্টের নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় অভিভাবকদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিভিশন এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পরিবেশন করে। গত ডিসেম্বর মাসেও স্কুলটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

স্কুলের এমন ঘটনা আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে মাউশিকে প্রতিবেদন দিতে বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগ আসা প্রতিষ্ঠান যদি এ ধরনের অর্থ আদায় করে থাকে তা দ্রুত শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ফিরিয়ে দিতে হবে।

এ ব্যাপারে জালাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত নভেম্বর মাসে অ্যাসাইমেন্ট দেওয়ার পর থেকেই এক ধরনের শিক্ষক এটাকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন। শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইমেন্ট করানো এবং জমা নেওয়ার নামে টাকা আদায় করছে। এটা অবৈধ। যখনই যেখানে অভিযোগ পেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং টাকা নিয়ে থাকলে সে টাকা ফেরত দেওয়ায় ব্যবস্থা করছি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে সর্তক, কোনোটিকে শোকজ করা হয়েছে। এবার একটু কঠিন হতে হচ্ছে আমাদের। কারণ অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে বলেছি।

মাউশিতে বরগুনা জেলার আমতলী সরকারি এ কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্টের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টাকা জমা না দিলে অ্যাসাইনমেন্ট খাতা জমা নিচ্ছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এনএম/জেডএস