পরীক্ষা দিচ্ছে এক শিক্ষার্থী / ফাইল ছবি

করোনার কারণে বাতিল এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে অনিশ্চিয়তা যেন কাটছেই না। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও গত সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ সভা না হওয়ায় ফের পিছিয়ে গেল এইচএসসির ফল। তবে আগামী ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক হলে এক সপ্তাহের মধ্যে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, গেল সপ্তাহ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এজেন্ডা কম থাকায় সেটি হয়নি। আমরা আশা করছি, ১১ জানুয়ারি পরবর্তী বৈঠকে এটি অনুমোদন হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ফল প্রকাশ করতে পারবো। আমদের সব ধরনের ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।     

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসন বলেন, গত সপ্তাহ অধ্যাদেশ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের সভায় পাঠানো হয়েছে। গত সপ্তাহ মন্ত্রিপরিষদ না হওয়ায় বিষয়টি ওঠেনি। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হলে আশা করি অনুমোদন হবে। তবে এ মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।

কারণ পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। এটি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জারি করা হবে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।

এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও এবার নেওয়া যাচ্ছে না।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, জেএসসি এবং এসএসসির ফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, জেএসসি-জেডিসির ফলের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে।

এনএম/এসএম