এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে কিছুদিন আগে। এখন চলছে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার তোড়জোড়। কিছুদিন পরই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। সে অনুযায়ী দেশের প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমপর্যায়ের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

তবে, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এখনো গত শিক্ষাবর্ষের ক্লাসই শুরু করতে পারেননি। অর্থাৎ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে, তখন সাত কলেজে এখনো ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়নি।

এমন অবস্থায় প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ আর হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এখন ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় আছেন। আবার প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণার ৮ মাস পার হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ আইন ও অধ্যাদেশ আসেনি। ফলে, নতুন শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা, পুরাতন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট।

৮ বছর ধরে চলছে ৭ কলেজের লড়াই, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ও দিচ্ছে না স্বস্তি

প্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ অধিভুক্তির আওতায় পড়ে। অধিভুক্তির পর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি, পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ ও সার্টিফিকেট প্রদানসহ শিক্ষা সম্পর্কিত সব কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে এসব কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল।

তবে, অধিভুক্তির শুরুর দিকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। সেশনজট, দেরিতে ফলাফল প্রকাশ, ভুল ফলাফল, গণহারে ফেলসহ নানা অভিযোগ নিয়ে কলেজগুলোতে বারবার আন্দোলন হয়।সবশেষ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীরা অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। তখন তারা সড়ক অবরোধ, মিছিল ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর ডিসেম্বর ২০২৪-এ সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং রূপরেখা প্রণয়নের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কমিটি ক্যাম্পাস পরিদর্শন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বৈঠক এবং সম্ভাব্য ব্যবস্থা প্রণয়ন করে।

এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব আহ্বান করে ইউজিসি। এরপর ১৬ মার্চ সাত কলেজকে সমন্বিত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়—‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’।

এরপর ৯ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়। ২৪ জুলাই ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২২ ও ২৩ আগস্ট, দুই ধাপে। এতে কারিগরি সহায়তা দেয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তিন ইউনিটে মোট ১১ হাজার ১৫০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ২৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সাবজেক্ট চয়েজ ও কলেজ চয়েজ কার্যক্রম শুরু হবে। আর ভর্তি শেষ হবে ৩০ অক্টোবর। ক্লাস শুরুর সঠিক সময় এখনও জানানো হয়নি।

হতাশ নবীন শিক্ষার্থীরা, সেশনজট ঠেকাতে চান দ্রুত পদক্ষেপ

বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর পর প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু হতে যাওয়া সম্ভাব্য সেশনজট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি, উত্তীর্ণ হয়েছি, কিন্তু এখনো ক্লাস শুরু হয়নি। ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় বসে আছি। শিক্ষাজীবন যেন স্থবির হয়ে গেছে। আবার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অধ্যাদেশ এখনও আসেনি। ফলে, আমাদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রচণ্ডরকমের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সালমান বিন আলম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আর কোনো বিকল্প নেই। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই, তাই সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা চাই দ্রুত কার্যকর আইন, স্পষ্ট সিলেবাস ও একাডেমিক কাঠামো প্রণয়ন করা হোক। যাতে আমাদের পড়াশোনায় দেরি না হয়।

তারেক আজিজ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প পথ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ক্লাস শুরুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। না হলে দ্বিতীয়বারের (সেকেন্ড টাইম) মতো ভর্তির প্রস্তুতি নিতে হবে। আবার অনেকের সেই সুযোগও নেই। কোনো বিকল্প না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তাই দ্রুত ক্লাস শুরুর চিন্তা করা দরকার।

আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরুর কোনো ঘোষণা না এলে নবীন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করেছেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান

গত মাসের (সেপ্টেম্বর) শেষের দিকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তবে, এটি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ দ্রুত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার পক্ষে, অন্য পক্ষ পুরোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাঠামো বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরাই ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সনদ পাবেন, এর আগের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান সেশনগুলোর শিক্ষার্থীরা অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, খসড়াটি বৈষম্যমূলক ও অবিবেচনাপ্রসূত। সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

অন্যদিকে, ঢাকার সাত কলেজের স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হচ্ছে— এমন অভিযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রস্তাবিত কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, ঐতিহ্য ও নারী শিক্ষার পরিসর সংকুচিত হবে।

তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও তা অবশ্যই পৃথক স্থানে করতে হবে, যেমন— পূর্বাচল বা ঢাকার বাইরে নতুন কোনো ক্যাম্পাসে। কলেজগুলোর সম্পত্তি ও লোগো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। বিশেষ করে ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই পরিবর্তনে নারী শিক্ষা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষকদের আপত্তি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ এবং তারা দ্রুত অধ্যাদেশ জারি না হলে রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে আবার বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের এক অধ্যাপক বলেন, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের খসড়ায় আমরা শিক্ষকেরা কোনোভাবেই নিজেদের ভবিষ্যৎ বা শিক্ষার্থীদের কল্যাণ দেখতে পাচ্ছি না। সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজকে একই ছাতার নিচে এনে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো মানে এগুলোর স্বতন্ত্র পরিচয়, ঐতিহ্য ও শিক্ষার ধারা নষ্ট করা। ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের মতো নারী শিক্ষার কেন্দ্রগুলো সংকুচিত হলে সেটি জাতীয়ভাবে এক ধরনের পশ্চাদপসরণ হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু সেটি যেন নতুন স্থানে হয়, যেখানে নতুন প্রজন্মের জন্য আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। আর কলেজের স্থাবর সম্পত্তি, লোগো ও নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে হস্তান্তর করা হলে সেটি আইনি ও নৈতিক দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য হবে। শিক্ষা কোনো পরীক্ষাগার নয়। সাত কলেজকে পরীক্ষামূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল বানানো দেশের উচ্চশিক্ষার জন্য ভয়াবহ দৃষ্টান্ত হবে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই দ্রুত অধ্যাদেশ জারি হোক। কারণ, বছরের পর বছর ঢাবির অধীনে থেকে শুধু সেশনজট, প্রশাসনিক জটিলতা আর ভোগান্তিই দেখেছি। এখন সরকার যখন আমাদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ নিয়েছে, তখন কিছু শিক্ষক সেটাকে রুখে দিতে চাইছেন। এটা আমরা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বলছি না। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা রাজনীতি করছেন, তারা শিক্ষার্থীদের কথা ভাবছেন না। আমরা দাবি জানাই— সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এই অধ্যাদেশ জারি না করলে আমরা সারা রাজধানীতে কঠোর আন্দোলন শুরু করব। এই সুযোগ হাতছাড়া করা মানে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতিকে আটকে দেওয়া।

বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার বলেন, আমরা শুনছি, আমাদের কলেজের জায়গা, ক্লাসরুম আর সময় ভাগ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ চালু করা হবে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা— নারী শিক্ষার্থীরা। বিকেলের দিকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চলে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা, ক্লাসের সময় ও পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমাদের কলেজ বহু বছর ধরে নারী শিক্ষার একটি প্রতীক। সেটিকে সংকুচিত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করলে মেয়েদের জন্য শিক্ষা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে মন্ত্রণালয়

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস জানিয়েছেন, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষরা মিলে আমরা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানেই বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৫-২৬) ভর্তির বিষয়টি তাদের ক্লাস শুরুর ওপর নির্ভর করবে। আমরা এক মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি, ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও চলমান। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ হবে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যেরকম ধারণা এসেছে, তা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় মোকাবিলা করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, সামনের আলোচনার মাধ্যমে ক্লাস কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালানো সম্ভব হবে।

অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। সব শিক্ষার্থী যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এখনও ক্লাস শুরু করতে না পারাটা উদ্বেগের বিষয় : ড. তানজীমউদ্দিন খান

সাত কলেজের চলমান সেশনজট ও শিক্ষাবর্ষ শুরু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কাছে খুব অপ্রত্যাশিত মনে হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। নতুন কাঠামোর অধীনে শিক্ষাবর্ষ পরিচালনার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, এখনও সব পদক্ষেপ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমরা চেষ্টা করব সংকট চিহ্নিত করে যথাযথ পরামর্শ দিতে। অন্তর্বর্তী প্রশাসক মূল দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমরা সময়ে সময়ে পরামর্শ দেবো।

ড. তানজিম আরও বলেন, বর্তমান সেশনজট নিরসনে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের যৌথ পদক্ষেপ অপরিহার্য। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য পরিস্থিতি সহজ হয় এবং কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানো সম্ভব হয়।

আরএইচটি/এমজে