সারা দেশের স্কুলগুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির মৌসুম শুরু হলেও এখন পর্যন্ত লটারি হবে নাকি ভর্তি পরীক্ষা হবে— সে বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে বিভিন্ন স্থানে স্কুলগুলোতে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুলগুলোতে চলছে ফরম বিক্রির প্রতিযোগিতা, দামও নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো। কোথাও ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, কোথাও আবার লটারিতে ভর্তি করা হবে বলা হচ্ছে। এ অবস্থায় অভিভাবকরা পড়েছেন বিভ্রান্তিতে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, পুরান ঢাকাসহ সব জায়গায় এখন ভর্তি নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। জনপ্রিয় স্কুলগুলোতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিভাবকরা ভর্তি ফরম সংগ্রহ করছেন। এজন্য স্কুলভেদে গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। ফরম কিনলেও অনেক অভিভাবক জানেন না ভর্তি প্রক্রিয়া কীভাবে হবে। কোথাও লেখা আছে— ‘লটারি দ্বারা ভর্তি করা হবে’, আবার কোথাও স্পষ্টভাবে লেখা— ‘ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে’। অথচ সরকারি নির্দেশনা থাকলে এমন ভিন্ন পদ্ধতি থাকার কথা নয়। প্রথম সারির অনেক স্কুলে আবার আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে ফরম কেনার সুযোগ।

রাজধানীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নামপরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো অফিসিয়াল নির্দেশনা পাইনি। তবে, অভিভাবকদের চাপে ফরম বিক্রি শুরু করেছি। সবাই জানতে চাইছে— লটারি হবে নাকি পরীক্ষা? আমরা নিজেরাও জানি না কী হবে। সরকার যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’

মিরপুরের পল্লবী এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক জসীম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা জানি না আসলে কী হবে। কোথাও বলছে লটারি, কোথাও বলছে পরীক্ষা। মেয়ের জন্য কয়েক জায়গা থেকে ফরম কিনেছি। সরকারের কোনো স্পষ্ট নিয়ম না থাকায় স্কুলগুলো নিজেদের মতো নিয়ম বানিয়ে নিচ্ছে। এতে অভিভাবকদের মানসিক ও আর্থিক চাপ বাড়ছে।’

মাহমুদুল হাসান নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘প্রতিবছর ভর্তি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এবার তো পুরো বিষয়টাই অজানা। কেউ বলে পরীক্ষা হবে, কেউ বলে লটারি। বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অথচ সরকারি কোনো দিকনির্দেশনা পাচ্ছি না।’

নুরুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ, কয়েকটা স্কুলের ফরম কিনতেই অনেক খরচ। নিশ্চিত না হয়ে ফরম কিনতেও ভয় লাগে। সরকার সময়মতো সিদ্ধান্ত না দিলে এই বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। স্কুলে ভর্তি একটা আনন্দের বিষয় হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন সেটা দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ নতুন নিয়মের কথা বলছে, কিন্তু সরকার চুপ। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি।’

শিগগিরই সবার সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকারকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার এবং সেটি প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

ভর্তি পরীক্ষার গুঞ্জনে রমরমা কোচিং ব্যবসা

২০১০ সালের আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হতো প্রচলিত নিয়মে। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং অনিয়ম ঠেকাতে সরকার ২০১১ সালে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে ‘লটারি’ ব্যবস্থা চালু করে। এরপর ২০২০ সালে মহামারির সময় লটারিকে বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিয়ম শিথিল হয়েছে। এখন অনেক স্কুল, বিশেষ করে বেসরকারি ও আধা-সরকারি স্কুল বিভিন্ন অজুহাতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বলছে— ‘মূল্যায়ন’ হচ্ছে; আবার কেউ বলছে ‘ছাত্রের মনস্তাত্ত্বিক যোগ্যতা যাচাই’। কিন্তু বাস্তবে তা ভর্তি পরীক্ষাই।

এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে নামি-বেনামি বিভিন্ন কোচিং সেন্টার। তাদের অনেকে ভর্তির অনিশ্চয়তার কথা বলে অভিভাবকদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করছে। অভিভাবকদের তারা বোঝাচ্ছে— সরকারি স্কুলে আসনের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় শিশুরা ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করলে ভালো স্কুলে সুযোগ হারাতে পারে। সেজন্য বাড়তি প্রস্তুতি নিতে কোচিং করার বিকল্প নেই। আবার অনেক কোচিং সেন্টার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাড়তি ক্লাস, মক টেস্ট বা ডামি ভর্তি পরীক্ষাও চালু করেছে।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভর্তি নিয়ে এক ধরনের ব্যবসা মুরু হয়েছে। অনেক স্কুলের ফেসবুক পেইজ কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপে ভর্তির জন্য বিজ্ঞাপন, সাজেশন এবং অ্যালগরিদমভিত্তিক ‘সফল ভর্তি কৌশল’ বিক্রি করা হচ্ছে। মেসেঞ্জারে অভিভাবকদের কাছে বিভিন্ন প্যাকেজের বিজ্ঞাপন পৌঁছে যাচ্ছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়— কোন স্কুলে কত নম্বর পেলে ভর্তি সম্ভব বা কোন স্কুলে লটারি বেশি সুবিধাজনক। এসব তথ্যের প্রমাণ নেই, সুনির্দিষ্ট কোনো উৎসও নেই। তবু অভিভাবকরা চাপ বা আতঙ্কে এসব সেবা কিনছেন।

বিষয়টি নিয়ে রাশিদুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ফেসবুক বা মেসেঞ্জারে নানারকম ‘ভর্তি কৌশল’ বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই এসব কিনছেন। আমাদেরও কেনার জন্য চাপ তৈরি হচ্ছে।

ধানমন্ডির বাসিন্দা অভিভাবক তাসনিম আক্তার জানান, স্কুলভর্তি নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিশেষ সাজেশন দেখেছি, যা এক ধরনের ব্যবসা হয়ে গেছে। সরকারের উচিত ভর্তি নিয়ে শিগগিরই সঠিক প্রক্রিয়াটি প্রকাশ করা। আমরা মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছি।

লটারি নয়, পরীক্ষা চান সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা

এবার সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা ভর্তির সময় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) দেশের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের কাছে লিখিতভাবে এ বিষয়ে আবেদন করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের আমলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে চালু করা লটারি পদ্ধতি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর। ২০২৬ সালেও এই পদ্ধতি চলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে অভিভাবকরা অবগত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন এবং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হওয়ার জন্য লটারিকে দায়ী করেছেন।

আবেদনে শিক্ষকরা বলেছেন, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ও অভিভাবকের উৎকণ্ঠা লাঘবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শ্রেণিতে লটারির পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহাল করা জরুরি। অন্যথায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যসচিব আব্দুল মূবীন বলেন, অভিভাবকদের উদ্বেগ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদনটি পাঠিয়েছি। আশা করি, মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের এ দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

সরকারি স্কুলে ৬ গুণ প্রতিযোগিতা, সহোদর কোটায় বাড়তে পারে সুযোগ

নতুন শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের পাঁচ হাজার ৬২৫টি স্কুলে প্রায় ১১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আসন মাত্র এক লাখ ৯ হাজার, যা মোট আসনের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে, বেসরকারি স্কুলে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ আট হাজার আসন, অর্থাৎ মোট আসনের ৯০ শতাংশের বেশি। ফলে, সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রতিযোগিতা এবারও আগের মতোই তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্প্রতি দেশজুড়ে স্কুলভিত্তিক শূন্য আসনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। তাতে দেখা যায়, দেশের ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ভর্তিযোগ্য আসন এক লাখ ৯ হাজার, আর চার হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ আট হাজার।

গত বছর সরকারি-বেসরকারি স্কুল মিলিয়ে মোট আবেদন জমা পড়েছিল ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আবেদন করেছিল ছয় লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন, যা আসনের প্রায় ছয়গুণ বেশি। অর্থাৎ, প্রতি ছয়জন আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র একজন সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। অন্যদিকে, বেসরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছিল প্রায় তিন লাখ ৪০ হাজার, ফলে সেখানকার প্রায় সাড়ে ছয় লাখ আসন ফাঁকা থেকে যায়।

মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি স্কুলের প্রতি মানুষের আগ্রহ যেমন বাড়ছে, তেমনি বেসরকারি স্কুলে অতিরিক্ত খরচ ও মানসম্মত শিক্ষার অনিশ্চয়তা অভিভাবকদের সরে যেতে বাধ্য করছে। তবে, আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নীতিমালায় বড় পরিবর্তন না এলেও সহোদর কোটা বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে সহোদর কোটা পাঁচ শতাংশ, তবে এবার তা ১৫ বা ২০ শতাংশে উন্নীত করা হতে পারে।

মাউশির মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সহোদর কোটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে রিট হচ্ছে। অনেক অভিভাবক চান— এক সন্তান কোনো স্কুলে ভর্তি হলে অপর সন্তানকে সেখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। আদালতও বিষয়টি বিবেচনায় নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই কারণে সহোদর কোটা বাড়ানোর প্রস্তাব আছে। অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখন স্কুলপড়ুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম, তাই এই কোটা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়েছে।

ভর্তি ফি কত?

এবারও ভর্তির আবেদন ফি হতে পারে ১১০ টাকা। অর ভর্তি ফি মফস্বল এলাকায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় এক হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) তিন হাজার টাকা, আর ঢাকার এমপিওভুক্ত স্কুলে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে। আর আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত, ইংরেজি ভার্সনের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে। রাজধানীর কোনো প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ফি হিসেবে তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না, তবে বার্ষিক সেশন চার্জ নেওয়া যাবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর বয়স ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। অর্থাৎ, প্রথম শ্রেণির জন্য সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হতে হবে ১ জানুয়ারি ২০২১, আর সর্বোচ্চ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হবে। বয়স যাচাইয়ের জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে, যা এবারও বাধ্যতামূলক থাকবে।

বুধবারের বৈঠকে আসতে পারে সিদ্ধান্ত

এ বছর স্কুল ভর্তি নিয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘স্কুলে ভর্তির পদ্ধতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বুধবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বর্তমান পদ্ধতি বজায় রাখা বা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’

আরএইচটি/এমজে