• ১ এপ্রিল শুরু হওয়ার কথা ছিল এইচএসসি পরীক্ষা 
• অংশ নেওয়ার কথা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জনের
• করোনার কারণে নেওয়া হয়নি পরীক্ষা, ফল প্রকাশে প্রয়োজন হবে অধ্যাদেশের 
• ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 
• কয়েক ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়েছে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
• ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমানের ফল শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়। আসন্ন এইচএসসির ও সমমানের ফলও একইভাবে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

সেজন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেছে বোর্ডগুলো। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। যারা রেজিস্ট্রেশন করবে তারা ফল প্রকাশের দিন ঘরে বসেই তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছে টেলিটক।

যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
টেলিটকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলের প্রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ঘরে বসে ফল পেতে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নাম দিয়ে স্পেস দিয়ে রোল লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে 16222 নম্বরে পাঠিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

করোনা মহামারির কারণে পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আটকে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফলের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- চিরাচরিত নিয়মে না নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, যাতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও আটকে যায়।

কবে হবে ফল
চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ ফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও গত সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ সভা না হওয়ায় ফের পিছিয়ে যায় এইচএসসির ফল। তবে ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক হলে এক সপ্তাহের মধ্যে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে জানান, গেল সপ্তাহ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এজেন্ডা কম থাকায় সেটি হয়নি। আমরা আশা করছি, ১১ জানুয়ারি পরবর্তী বৈঠকে এটি অনুমোদন হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা ফল প্রকাশ করতে পারবো। আমদের সব ধরনের ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।   

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। কারণ পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। এটি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জারি করা হবে।

এনএম/এনএফ