বেসরকারি স্কুল–কলেজে জনবল কাঠামো ও এমপিওর নতুন নীতিমালা জারি
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন–ভাতার সরকারি অংশ সুষ্ঠুভাবে বণ্টন ও উপযুক্ত জনবল কাঠামো নির্ধারণে নতুন নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা–২০২৫’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনের সই করা ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশে অবস্থিত সব বেসরকারি নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কলেজে নীতিমালার আওতাভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সংগীত, শরীরচর্চা, চারুকলা, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও বিকেএসপির মতো বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও প্রয়োজন বিবেচনায় এমপিওর আওতায় আনা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে এমপিও প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বলতে বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথাই বোঝানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নতুন নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ‘উদ্বৃত্ত পদ’-এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। পূর্বে প্যাটার্নভুক্ত হয়ে এমপিওপ্রাপ্ত হলেও সরকার ঘোষিত নতুন কাঠামো বা প্রজ্ঞাপনের কারণে যে পদ বিলুপ্ত হয়েছে, তা উদ্বৃত্ত হিসেবে ধরা হবে। তবে এই পদে কর্মরত ব্যক্তির চাকরি সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত পদটি বহাল থাকবে। অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত নন–এমপিও শূন্যপদে বিধি অনুযায়ী যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের পদও উদ্বৃত্ত হিসেবে গণ্য হবে—যদি তাদের তথ্য ব্যানবেসের ডাটাবেজে যাচাই প্রক্রিয়ায় থাকে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, জনবল কাঠামোর উল্লিখিত সব পদ এবং সেই পদসংখ্যাই ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক গণ্য হবে। এতে শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত হবে বলেও জানানো হয়েছে ।
আরএইচটি/জেডএস