গণমাধ্যমে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মিডিয়া এডুকেটরস নেটওয়ার্ক।

একইসঙ্গে সামান্য ত্রুটির অজুহাতে একই বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছের পদোন্নতি বাতিলের সিদ্ধান্তও অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।  

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৭৮ শিক্ষকের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দায়িত্বে অবেহলাকারীদের আড়াল করে, তথ্য সরবরাহকারীকে অভিযুক্ত করার এমন অপপ্রয়াস সচেতন মহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করা কোনো অপরাধ নয়।’

এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথ্যের সোর্স শনাক্ত করতে যে “উচ্চতর তদন্ত কমিটি” গঠন করেছে, তা নৈতিকতা বিবর্জিত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থী।’

কুবি প্রশাসন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রতি উদ্দেশ্যমূলক বৈরী আচরণ শুরু করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি এ বিভাগের দুই শিক্ষার্থী, যারা সংবাদমাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত, সংবাদ সংগ্রহের প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কক্ষে গিয়ে হয়রানির শিকার হন। ক্ষোভ প্রকাশের এক পর্যায়ে রেজিস্ট্রার তার কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীদের বের করে দেন। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, “সাংবাদিকতা বিভাগ খুলে পাপ করেছি”। এ ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য আমাদের বিব্রত করেছে।’

বিবৃতিতে সই করেছেন— ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাকেক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মামুন আ. কাইউম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাইসুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক ফারজানা তাসনিম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বেলাল হুসাইন, প্রভাষক মাহমুদুল হাসান, প্রভাষক অর্ণব বিশ্বাস, জাবির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমাইয়া শিফাত, শেখ আদনান ফাহাদ, চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, অধ্যাপক মশিহুর রহমান, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক প্রমুখ।
 
এনএম/আরএইচ