মাধ্যমিকের (৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেশি) দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। 

রোববার (১৮ জুলাই) মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। 

আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের মতো ২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রেরণ করা হলাে।

এমতাবস্থায় ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সব শিক্ষার্থীদের প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘােষিত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।

লকডাউন এলাকার শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।

অধিদফতর বলছে, করোনা অতিমারির কারণে যেসব এলাকায় লকডাউন চলছে ওইসব এলাকার আঞ্চলিক পরিচালক, উপপরিচালক, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে বিতরণ করা অ্যাসাইনমেন্ট জমার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করতে পারবেন।

যেসব শিক্ষার্থী লকডাউনের কারণে যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে না তাদের পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমার সুযোগ দেবেন। স্বাস্থ্যবিধি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে শিক্ষা অধিদফতর।  

অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনায় অধিদফতর বলছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেনি এবং তাদের মূল্যায়ন করা যায়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে এনসিটিবি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে পুনর্বিন্যাস করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনার জন্য এনসিটিবি কর্তৃক বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনাসহ (রুবিক্সসহ) অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।

অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। মূল্যায়ন শেষে শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে শিক্ষকরা সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করছেন কি না তা পরিবীক্ষণ করতে হবে, প্রয়োজনে শিক্ষকদের কাছ থেকে মূল্যায়নের ব্যাখ্যা নিতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন রেকর্ড নির্ধারিত ছক অনুসারে সংরক্ষণ করেছেন কি না তাও পরিবীক্ষণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক পরিচালকদের।

অধিদফতর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের আরও বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যেন অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অনৈতিক চাপের মুখোমুখী না হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। 

এনএম/জেডএস