ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়ে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। অসুস্থতার কারণে বর্তমান অধ্যক্ষ সাত দিনের ছুটিতে থাকার মধ্যে জুনিয়র এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতেই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, খাতা ট্যাম্পারিং করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে ডিসেম্বরে অধ্যক্ষ ফওজিয়াকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার স্থলে শিক্ষা ক্যাডারের আরেক কর্মকর্তা অধ্যাপক কামরুন নাহারকে পদায়ন করা হয়।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যপক (কো-অর্ডিনেটর, বিজ্ঞান বিভাগ) মাজেদা বেগমকে রুটিন দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়েছে। 

এতে শিক্ষক-অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের গভর্নিং বডি বাইরে কাউকে অধ্যক্ষ হিসেবে দেখতে চায় না। সেজন্য বৈধ ছুটিতে থাকার পরও নতুন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় কমিশন ও স্কুলের গর্ভনিং বডির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, এতে অস্থিরতার কিছু নেই। স্কুলের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে। নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে।

এদিকে নতুন একজন জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ায় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থানে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডেও ২০১১ সালের পরিপত্র অনুযায়ী- যখন অধ্যক্ষ দায়িত্ব থেকে ছুটি নিবেন তখন তার অধস্তন সিনিয়র শিক্ষককে অধ্যক্ষের রুটিন দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা একজন শিক্ষককে অধ্যক্ষের রুটিন দায়িত্বে বসিয়েছেন। যেটি আইনের নিয়মবহির্ভূত। শিক্ষা বোর্ড আইনের সঙ্গে অসংঙ্গতিপূর্ণ কাজের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ভেঙে দিতে পারেন বলে পরিপত্রে বলা হয়েছ।

তবে গভর্নিং বডির সভাপতির এমন সিদ্ধান্ত বাতিলে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন অভিভাবকরা। এটি দ্রুত বাতিল করতেও বলা হয়েছে।

এনএম/ওএফ