শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) চাহিদার ভিত্তিতে ৬৮৮টি শূন্য পদের নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।‌ এতে ৪৭১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ‌ ফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের নিশ্চিত করেছেন।

এতে জানানো হয়, এনটিআরসিএ-র মাধ্যমে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর পদে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৪৬৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ২৬টি পদ বাদ দেওয়ার জন্য সেসিপের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫২টি প্রতিষ্ঠানের ৬৬২টি পদের আবেদন বিবেচনা করা হয়। মোট আবেদন পাওয়া যায় ১৫ হাজার ১৯৮টি। ১০টি ট্রেডের মধ্যে প্লাম্বিং নামের ১টি ট্রেডে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। মোট ৬৬২টি পদের মধ্যে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭১টি পদে ১ জন করে প্রার্থীকে টেলিটকের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ১৯১টি পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। নির্বাচিত প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্পের ৬৮৮টি ইন্সট্রাক্টর পদের বিপরীতে গত ৫ আগস্ট গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষক নিয়োগের এ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন শুরু হয় গত ৮ আগস্ট থেকে (সকাল ১০টা)। চলে ৩১ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। ১০টি বিষয়ে ৪৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৬৮৮ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়। সবগুলো পদই এমপিওভুক্ত।

যেসব পদে আবেদন চাওয়া হয়

ফুড প্রসেস ও প্রিজারভেশন পদে ৫৮টি, সিভিল কনসট্রাকশন ১৯টি, জেনারেল ইলেকট্রিক ওয়ার্ক ১৯৩টি, ড্রেস মিসিং ৪৪টি, কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরশন টেকনোলজি ২৪২টি, জেনারেল মেকানিক ২২টি, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং ৩৪টি, পাম্পিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং ১৮টি, ওয়েডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ৫টি।

এনএম/জেডএস