প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এখনই ক্লাসে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক।’

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদের আমরা এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক। আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।’

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘কোথাও যদি আমরা মনে করি, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা আছে, প্রয়োজন হলে সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম কোনো পরিস্থিতি ঘটেনি। যদি কোথাও হয় আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি এখনও কিন্তু চলমান। যদিও শনাক্তের হার পাঁচের নিচে নেমে এসেছে, তারপরও কিন্তু মহামারি চলমান সারা দুনিয়ায়। কাজেই আমাদের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে হতে পারে, যাতায়াতের পথে হতে পারে; এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে এবং কোথাও ঘটনা ঘটলে আমরা যেন ব্যবস্থা নিতে পারি এ বিষয়ে সচেতন এবং দৃষ্টি রাখছি। আমরা কোনো অভিযোগ বা খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জেন্টের অফিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।’

অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সে মারা গেছে। আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণির একজনের করোনা হয়েছে। আমরা তার ক্লাসের সবাইকে করোনার পরীক্ষা করিয়েছে। সেখান আর কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুলে করোনা বিস্তারের খবর ঘুরছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বলছে, এ স্কুলে এতজন… আমরা সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নিচ্ছি। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমরা এখনও কোথাও এমন খবরের সত্যতা পাইনি।’

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সময়মতো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

এনআই/এনইউ/এমএইচএস