বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি শূন্যে নামিয়ে আনার তাগিদ
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অডিট আপত্তি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অডিট আপত্তির সম্মুখীন হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ না করার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম। আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অডিট আপত্তি কমিয়ে আনতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইউজিসিতে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিজ্ঞাপন
প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর বিধি-বিধান মেনে বেতন-ভাতা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিকে উচ্চতর স্কেলে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এতে আর্থিক বিধি-বিধানের লঙ্ঘন ঘটছে।
কর্মশালায় প্রফেসর আবু তাহের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণা, ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কমিশনে উৎপাদনশীল খাত যেমন গবেষণা, ল্যাব উন্নয়ন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, কমিশন সব সময় অনুৎপাদনশীল খাতে বাজেট বরাদ্দ নিরুৎসাহিত করে আসছে। করোনাকালে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। কিন্তু এ সময়ে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আপ্যায়ন ও ওভারটাইম ভাতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে যা অনভিপ্রেত।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ উন্নত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি ও পেনশনভোগীর বিড়ম্বনা কমানোর পরামর্শ দেন।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় দেশের ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান এবং বাজেট কর্মকর্তা অংশ নেন।
এনএম/এসকেডি