ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস পরবর্তীতে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছিলেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) গণস্বাক্ষরতা অভিযান প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যেতে পারে বলে এক সমীক্ষায় দেখিয়েছে। এমন শঙ্কার মধ্যে বাস্তবে কি ঘটতে যাচ্ছে তা জানার চেষ্টা করছেন প্রাথমিক শিক্ষা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে তা জানতে চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) দেশের সব জেলা প্রশাসকের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে শুরু করে ষষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত কোন শ্রেণিতে কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে চিঠিতে তা জানতে চাওয়া হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তাপস কুমার আচার্য্য (পলেসি অ্যান্ড অপারেশন) স্বাক্ষরিত অফিস আদেশটিতে দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়।

চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিবছর ভর্তির এ চিত্রটি নেওয়া হয়। এবার বৈশ্বিক মহামারি  করানোয় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে, তাই আগে থেকেই আমরা মাঠে তৎপরতা শুরু করেছি।

তিনি বলেন,  মাঠের চিত্রটা পাওয়ার পর কি পরিমাণ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত বা ভর্তি হয়নি, তা দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এদিকে প্রাথমিক স্তরের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গত ৫ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেশের সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। শুধু ভর্তিচ্ছু শিশুদের নাম, ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।

এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার সব শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। 

নির্দেশনা আরও বলা হয়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। করোনাভাইরাসের কারণে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন বা স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থীহীন হয়ে পড়েছে, সেগুলোতে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এনএম/এমএইচএস