দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা কার্যক্রমের একাডেমিক সুপারভিশন শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মহামারি কোভিড-১৯ পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ ছিল। এ সময়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অনলাইনভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসব অনলাইনভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাউশির নির্দেশনা মোতাবেক  পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে নির্ধারিত ছকে মনিটরিং প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেওয়ার পর সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও অনলাইনভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রমের যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়সমূহ সুপারভিশন করা প্রয়োজন।

সুপারভিশন তথ্য ছকে আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সুপারভিশন কার্যক্রমের বার্ষিক পরিদর্শন ক্যালেন্ডারের নির্ধারিত বিধি অনুসরণ করে মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য ছক অনুযায়ী পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করতে ‘সুপারভিশন তথ্য ছক-ক’ অনুযায়ী পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিতে একাডেমিক সুপারভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ লক্ষ্যে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্মরত রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মকর্তাগণ প্রতিমাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে নির্ধারিত ছকে মনিটরিং প্রতিবেদন ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং’ মাউশি অধিদফতরে পাঠান।

আরএইচটি/এসকেডি