সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে বিভিন্ন কোটায় আবেদন করেছে ১৭ হাজার ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে দুটি তালিকা করে সব স্কুলে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবারের (২৮ জানুয়ারি) মধ্যে কোটায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাউশিতে কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে প্রথম এবং অপেক্ষমাণ দুটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ও অপেক্ষমাণ তালিকায় যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের ২৮ জানুয়ারির (বৃহস্পতিবার) ভর্তিও কাজ শেষ করতে হবে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজিজ উদ্দিন বলেন, সারাদেশে স্কুলগুলোতে কোটায় ভর্তির জন্য সর্বমোট ১৭ হাজার ৮৯৯ জন আবেদন করেছিল। কিন্তু স্কুলগুলো কত আসন ফাঁকা এর তথ্য আমাদের কাছে না থাকায় কোটাধারীদের লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে দুটি তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা শূন্য আসনের বিপরীতে এ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।

মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, করোনার কারণে শুধুমাত্র ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত গত ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল লটারি পরবর্তী প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ)। কিন্তু কোটায় আবেদন করেছেন এমন অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি। তাদের সুযোগ করে দিতেই এ প্রক্রিয়ায় যেতে হয়েছে।

কোটায় সুযোগ পেয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সকল কাগজ-পত্র যাচাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

সারাদেশে ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির আবেদন করেছিল পাঁচ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ১১ জানুয়ারি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আসনের সমপরিমাণ প্রথম এবং অপেক্ষামাণ দুটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রথম তালিকা থেকে ২০ জানুয়ারি এবং অপেক্ষামাণ তালিকা থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।

গত অক্টোবর মাসে সরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালায় জারি করা হয়। সেখানে ঢাকা মহানগরের স্কুল পার্শ্ববর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ, এলাকা ক্যাচমেন্ট কোটা ছাড়াও পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দুই শতাংশ প্রতিবন্ধী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানের জন্য দুই শতাংশ কোটা ঠিক রাখা হয়।

এনএম/এফআর