প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। খাতা মূল্যায়নের পর নম্বর যোগসহ নানা কারণে প্রকাশিত ফল সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এ পুনর্নিরীক্ষণ বা খাতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতি বছর অনেকেই ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার ঘটনা আছে। এছাড়া প্রচুর শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। কিন্তু এবার যেহেতু পরীক্ষা হয়নি সেহেতু খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই। তারপরও ফল চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাবোর্ডের সংশ্লিষ্টরা বলেন, এবারের ফল প্রকাশ হওয়ার কেউ যদি মনে করে তিনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি তিনি ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। ২০২০ সালে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন এমন যেকোনও শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডগুলোতে বিষয়ভিত্তিক ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।

তবে এবার পরীক্ষার খাতা না থাকায় চ্যালেঞ্জটি একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে যাচাই হবে। চ্যালেঞ্জকারী আবেদন গ্রেড নির্ধারণের জন্য করা নীতিমালার আলোকে পুনর্মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ বোর্ডগুলো এইচএসসির অটোপাস নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর ফল পুনর্মূল্যায়নের অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ভুলক্রটি বের করবেন এবং এক্ষেত্রে কারো ফলাফলে পরিবর্তন আসলে পুনর্নিরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে। 

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফলাফল নিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হলে সেক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী ফল পুনর্নিরীক্ষা ও মানোন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। অতীতে পুনর্নিরীক্ষণ বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার যে বিধান ছিল এবারও সেটি থাকবে। তবে সব কিছুই হবে গ্রেড নির্ধারণ টেকনিক্যাল কমিটির করা সুপারিশের ভিত্তিতে।

মানোন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগও থাকছে
২০২০ সালের মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর যদি কোনো শিক্ষার্থী মনে করেন তার দু’য়েকটি বিষয়ের ফল আরও ভালো হতো। সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থী চাইলে এ বছরের জুলাইয়ে (সম্ভাব্য) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় মানোন্নয়ন পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগের নিয়মঅনুযায়ী বোর্ডে ফরম পূরণ করতে হবে। 

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ পুনর্নিরীক্ষণের উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে এবার পরীক্ষা না হওয়ায় নীতিমালায় আলোকে তার ফল ঠিক আছে কি না দেখা হবে।

যেকোনও পাবলিক পরীক্ষায় ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুনর্নিরীক্ষার আবেদন নিয়ে থাকে। কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। প্রতিটি বিষয়ে বোর্ডগুলো ১২৫ টাকা করে নিয়ে থাকে।

এনএম/ওএফ