করোনা মহামারি সময়ে বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। 

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবারের ফল ঘোষণা করেন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে ঢাকা বোর্ড এবং সবচেয়ে কম সিলেট বোর্ডে।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯২৬ জন। সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৪২ জন। বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৬৮ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ৪০ জন। যশোর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৯২ জন। দিনাজপুর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭১ জন। রাজশাহী বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৬৮ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ১৪৩ জন।

এবারে ঢাকা বোর্ডের অধীনে মোট ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪১ জন, রাজশাহীতে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৬ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ জন, যশোরে ১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭ হাজার ৯৭৬ জন, বরিশালে ৬৮ হাজার ৯২০ জন, সিলেটে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন, দিনাজপুরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৩৫ জন, ময়সনসিংহে ৮৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন।

অটোপাসের জিপিএ-৫-এ এগিয়ে মেয়েরা
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছেন। আর ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

বিদেশ কেন্দ্রে কমেছে শিক্ষার্থী, বেড়েছে জিপিএ-৫
গত বছরের তুলনায় এবারে বিদেশ কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। এবারের বিদেশ কেন্দ্রে ৬২ জন শিক্ষার্থীকে জিপিএ-৫ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করা শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এর আগে গত বছর বিদেশ কেন্দ্র থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ২৬ জন শিক্ষার্থী।

চলতি বছর বিদেশ কেন্দ্র থেকে ২১৫ জন শিক্ষার্থী মোট ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন।

গত বছর বিদেশ কেন্দ্রের ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ২৫৪ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ জন। গত বছরের তুলনায় এবারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে ২১৫ জনে নেমেছে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা ২৬ জন থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ৬২ জন।

এনএম/জেডএস