সংগৃহীত ছবি

নতুন শিক্ষাবোর্ড হওয়ার পর ২০২০ সালে প্রথম এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা কথা ছিল দেশের ১১তম শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহের। তবে ভাগ্যদোষে করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ পায়নি বোর্ডটি। ফলে প্রথম বছরের অটোপাস পেল আয়োজক বোর্ডটির ৮৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থী।

ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় মোট ৮৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ হাজার ৪৮৩ জন ছাত্র এবং ৪২ হাজার ৯২২ জন ছাত্রী পাস করেছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৪০ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪২ এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৯৯৮ জন। অন্যান্য বোর্ডের গড়ের তুলনায় এ বোর্ডের জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রীরা এগিয়ে আছেন।

জানা গেছে, ময়মনসিংহে এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তারা মূলত ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। এইচএসসিতে ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথমবারের মত পরীক্ষার্থী ছিল।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শামসুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা আসলে এ বোর্ডের জন্য স্মরণীয় একটি ঘটনা। বোর্ডের কর্মকর্তারা ও বিশেষ পদ্ধতিতে পাস করার শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা সারাজীবন মনে রাখবে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বোর্ডে কিছু করণীয় ছিল না। তবে আমরা পরীক্ষা নেওয়ার শতভাগ প্রস্তুত ছিলাম।

এর আগে ২০১৯ সালে প্রথম ব্যাচ হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা নেয় ময়মনসিংহ বোর্ড। এ বোর্ডের আওতায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় এক লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এবার এইচএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ডটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবোর্ড হিসেবে রূপ পেল।

২০১৯ সালে ২ নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ। ৮ম বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১১তম শিক্ষাবোর্ড হিসেবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামালকে।

এনএম/এমএইচএস