সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে অসন্তুষ্ট হলে শিক্ষার্থীরা তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পাবেন। এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফল রিভিউয়ের আবেদন নেওয়া হবে রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত। এজন্য ১২৫ টাকা ফি দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ সব বোর্ডগুলো এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে।

যেভাবে আবেদন করা যাবে
শুধুমাত্র টেলিটক সিম থেকেই ফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে REV লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।

মেসেজ সেন্ড হলে টেলিটক থেকে পিন নম্বরসহ একটি এসএমএস আসবে। পিন নম্বরটি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আবারও মেসেজ অপশনে REV লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে ‘পিন নম্বর’ লিখে স্পেস দিয়ে নিজস্ব মোবাইল নম্বর (যেকোন অপারেটরের) লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।

এইচএসসি ও সমমানের ফল রিভিউয়ের আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের ১২৫ টাকা ফি দিতে হবে। কোনো আবেদন ম্যানুয়ালি নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে বোর্ড।

প্রতি বছর মতো এবারের ফল চ্যালেঞ্জ একটু ভিন্ন হবে। আগে বিষয়ভিত্তিক খাতা পুনঃনিরীক্ষণ করা হত। কিন্তু ২০২০ সালে যেহেতু পরীক্ষা হয়নি তাই এবার শুধু ফল চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
 
চ্যালেঞ্জকারী আবেদন গ্রেড নির্ধারণের জন্য করা নীতিমালা অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়ন হবে। অর্থাৎ বোর্ডগুলো এইচএসসির অটোপাস নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীর ফল পুনর্মূল্যায়নের অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ভুলক্রটি বের করবেন এবং এক্ষেত্রে কারো ফলে পরিবর্তন এলে পুনর্নিরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে। 

মানোন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগও থাকছে
২০২০ সালের মূল্যায়নের ফল প্রকাশের পর যদি কোনো শিক্ষার্থী মনে করেন তার দু’একটি বিষয়ের ফল আরও ভাল হত, সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থী চাইলে এ বছরের জুলাইয়ে (সম্ভাব্য) অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষায় মানোন্নয়ন পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগের নিয়মানুযায়ী বোর্ডে ফরম পূরণ করতে হবে।

বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ পুনর্নিরীক্ষণের উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে ওঠানো হয়েছে কিনা ও প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে এবার পরীক্ষা না হওয়ায় নীতিমালায় আলোকে তার ফল ঠিক আছে কি না দেখা হবে।

এনএম/জেডএস