বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার ‘টুয়েনটি ইয়ারস অব মেকিং অ্যান ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্মরণে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় দুই দশকের পথচলায় অসামান্য সব অর্জনের ওপর আলোকপাত করে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। 

অনুষ্ঠানে ব্ক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ, ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন এর ডিন প্রফেসর সামিয়া হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক প্রজেক্ট হেড এবং গভর্নিং বডি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ড. রিয়াজ খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষা বিষয়ে স্যার ফজলে হাসান আবেদের দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ। তিনি বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির যাত্রার শুরুটার দিকে তাকালে প্রথমেই মনে পড়ে এই প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষেত্রে স্যার ফজলের গভীর আবেগের কথা। ২০ বছর পর, বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈশ্বিকভাবে এখন অনেক বেশি সম্পৃক্ত, বিশ্বের অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং সেই সঙ্গে এখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এখন শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পাঠদান এবং গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারে সচেষ্ট হয়েছি। 

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ২০ বছর আগে স্যার ফজলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন আমরা একটি বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার লক্ষ্য স্থির করেছি। এই যাত্রা সহজসাধ্য নয়, তবে আগামী ২০ বছরের মধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

২০ বছর পূর্তিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জন্য মাইলফলক বলে অভিহিত করেন স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন এর ডিন প্রফেসর ড. সামিয়া হক। তিনি বলেন, অনেক বছরের চেষ্টায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দেশের সেরা একটি বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে। 

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ড. রিয়াজ খান। তিনি বলেন, স্যার ফজলে যখন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করেন তখন আমরা শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করি। এটা স্পষ্ট ছিল যে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা বেশ ইতিবাচক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছিল।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আকাশ আমায় ভরলো আলোয়’ একং নজরুলগীতি ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায়’ পরিবেশ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। ‘প্রাইড অব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়টির সেরা কয়েকজন অ্যালামনাইয়ের বিভিন্ন অর্জন সবার সামনে তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় নির্মাণাধীন বিশ্ববিদ্যালটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের একটি ভিডিওচিত্রও প্রদর্শিত হয়। 

জেডএস