চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখবে। এই ইনকিউবেটর প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন, সর্বোপরি দেশবাসী ও চুয়েটের প্রাণের স্বপ্ন।

চুয়েট-এর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ আয়োজনে ‘আইওটি-বেইজড স্মার্ট ক্যাম্পাস’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।

আইআইসিটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাসনাত মোহাম্মদ আশফাক হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সর্বপ্রথম চুয়েটে নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

সেমিনারে রিসোর্সপারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন রিদোয়ান ফেরদৌস ফারহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইআইসিটির গবেষণা প্রভাষক মো. কামরুল হাসান। সেমিনারে চুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০০ প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এই প্রকল্পটি এখন সফল বাস্তবায়নের পথে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চুয়েটকে আমরা দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন প্রকল্পের অধীনে ৭টি গবেষণা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ‘চুয়েট মেডিকেল সেন্টার অটোমেশন’ এবং ‘চুয়েট  ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ শীর্ষক দুটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করেছে। প্রজেক্ট দুটির টিম লিডার ছিলেন চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।

সূত্র : বাসস

জেডএস