৪৪তম বিসিএসের আবেদনের জন্য আরও এক মাস বেশি সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিসিএসে আবেদনের সময় আরও একমাস বাড়ানো হচ্ছে। এ বিসিএসে আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি।

সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের যারা অ্যাপেয়ার্ড পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা এই বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন।

আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা পিএসসির ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারছেন। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর থেকে। ৪৪তম বিসিএস হবে সাধারণ (জেনারেল)। এ বিসিএসে নেওয়া হবে ১ হাজার ৭১০ জনকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে ৭৭৬ জন।

প্রসঙ্গত, বিসিএস আবেদন ফরমে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত তথ্য, দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা-সম্পর্কিত তথ্য এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার পছন্দের তথ্য। সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণ করে ফরম পূরণ করতে হবে। কারণ, অনলাইনে আবেদন করার পর কোনো পর্যায়েই প্রার্থীর ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে না। আবেদনের সময় ভুল বা মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্য দিলে যেকোনো পর্যায়ে তার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।

এছাড়া অনলাইনে ফরম পূরণের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীকে। টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা জমা দিতে পারবেন।

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাক ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।

এএজে/আইএসএইচ