একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে গত শনিবার। এবার ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করলেও প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৬ জন। 

গতকাল রোববার থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন শুরু হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ২২৮ টাকা বিকাশের মাধ্যমে জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষা বোর্ডগুলো জানিয়েছে, পরবর্তীতে মাইগ্রেশন হলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচিতরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে। এ বছর একাদশে ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।

জানা গেছে, আসন সীমিত থাকায় ও ভালোমানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ ধারী ১২ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ভর্তির সুযোগ পাননি। তবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, জিপিএ-৫ পেলেও মেধাক্রম ও স্কোরে পিছিয়ে পড়ায় এসব শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে নির্বাচিত হতে পারেনি। অটো মাইগ্রেশনের সময় আসন শূন্য হলে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন।

তিনি জানান, আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রাত ৮টায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২ মার্চ থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।

এএজে/এনএফ