কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিটিই) ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ)’ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো অনশন চলছে।

পঞ্চম দিনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও চারজন শিক্ষক। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে মোট ১৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। তাদের ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়কারী কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রসায়ন বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর মো. ইমন আলী বলেন, আমাদের মোট ১৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন চিকিৎসা নিয়ে আবার অনশনে বসেছেন।

বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মো. জহিরুল হক অসুস্থ হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলেও জানান তিনি। 

১ ফেব্রুয়ারি থেকে শহীদ মিনারে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।

‘ডিটিই’ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চালু ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার দিন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে স্টেপ প্রকল্পে নিযুক্ত ৭৮৬ জন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহাল রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

২০১৯ সালের ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ওই ৭৮৬ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে স্টেপ প্রকল্পের ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ১৯ মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

এএজে/আরএইচ