জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও রিপোর্টারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার চেয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে খাম পাঠানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্য করছে যে, একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব ও ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যে একটি গণমাধ্যমে ভুয়া নাম ব্যবহার করে পত্র দিয়ে তাদেরকে হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরূপ ন্যাক্কার ও ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড তুলে ধরে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যমের মধ্যে কোনো অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে দূরত্ব ও বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

এ ঘটনা দৃষ্টিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় ২টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। যারা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছে।

এনএম/জেডএস