তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের কাছে ভালোবাসার এক নাম ‘ক্রিপটিক ফেট’। ১৯৯৩ সালের ২০ মার্চ যাত্রা শুরু করে দেশের জনপ্রিয় এই হেভি মেটাল ব্যান্ড। কদিন পরেই ৩০ বছরে পা দেবে তারা। শুরু থেকেই শো করার ক্ষেত্রে বেশ খুঁতখুঁতে এই ব্যান্ড। সব কিছু মন মতো হলে তবেই শো নেন তারা, মাতিয়ে আসেন ভক্ত-শ্রোতাদের।

মাঝে করোনার কারণে ‘ক্রিপটিক ফেট’ও অনিয়মিত হয়ে পড়ে স্টেজে। তবে এই সময়টায় ঠিকই নিজেদের আরও ঝালিয়ে নেয় ব্যান্ডটি। ফলে সর্বশেষ শোগুলোতে আরও বেশি প্রাণবন্ত ছিল ‘ক্রিপটিক ফেট’। তাদের সেসব পরিবেশনা পূর্বের চেয়েও মুগ্ধ করেছে ভক্ত-শ্রোতাদের।

‘ক্রিপটিক ফেট’-এর গায়ক ও দলনেতা শাকিব চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে জানান, বর্তমানে বেশ কিছু শোয়ের অফার আছে তাদের কাছে। এটাকে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসার সুফল হিসেবেই দেখছেন তারা। আর এসব শো করার জন্য মুখিয়ে আছেন দলের সদস্যরা।

শাকিব বলেন, “গত বছরের শেষ দিকে যখন মহামারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়, তখন আমরা আবার শো শুরু করি। প্রথম শো ছিল আইসিসিবি হলে এবং অনেক দিন পর আমরা আর্টসেল এবং ব্ল্যাকের সঙ্গে একই শোতে বাজাই। এর পরের শোও ছিল একই জায়গায়-‘ঢাকা রক ফেস্ট ২০২১’। এই শো দিয়েই ‘অর্থহীন’ ঢাকায় তাদের কামব্যাক করে চার বছর পর। যেখানে আমি অর্থহীনের সঙ্গে তাদের ‘চাইতে পার ২’ গানটা গাই।”

তিনি জানান, ‘গত মাসে একটা ইন্টারন্যাশনাল গেমিং কম্পিটিশনে বাজানোর কথা ছিল আমাদের। কিন্তু তখন আমার করোনা হয়। ফলে বাদ দিতে হয় শোটি। তারপর ফারহানের কোভিড হয়, তাই আরেকটা শো বাদ দিতে বাধ্য হই। সবাই সেরে ওঠার পর গেলাম খুলনা ইউনিভার্সিটি শো করতে। বেশ রেসপন্স পাই সেখানকার ছাত্রদের থেকে। দারুণ মজা লাগে সেখানকার চুই ঝাল খেয়ে। কদিন আগেই বুয়েটের র‍্যাগ ডেতে বাজিয়েছি। সেখানেও চমৎকার সাড়া পেয়েছি।’

শাকিব চৌধুরী বলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি শোতে নতুন কিছু করার। খুব ভালো লাগে যখন আমাদের ইন্ট্রো এভি দেখে সবাই উত্তেজিত হয়। ইন্ট্রো থেকে আমরা চলে যাই ‘রাতের শেষ’ গানটিতে। সেখান থেকে ‘রাগ’, ‘অনাদরের সন্তান’, ‘যাত্রা’ ইত্যাদি। অবশ্যই ‘প্রতিবাদ’, ‘চলো বাংলাদেশ’ আর ‘ভবঘুরে’র মত গান সবসময় বাজাই। না হলে সবাই মাইন্ড করবে। আর ‘আক্রমণ’ দিয়ে শো শেষ না করলে মনে হয় লবন ছাড়া খাবার খেয়ে উঠলাম।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘নদী রক্স’ নামে একটি প্রজেক্টে নতুন গান করেছে ‘ক্রিপটিক ফেট’। যা শিগগিরই প্রকাশ পাবে। নদী বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে যেখানে তাদের সঙ্গে গান করেছে আরও ৬ ব্যান্ড।

আরআইজে