জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশীর জীবনে বয়ে গেছে এক ঝড়। গত ১৯ মার্চ দিবাগত রাতে বাবাকে হারিয়েছেন এই গায়িকা। বাবাই ছিলেন তার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। বাবার শোকে ঐশী এতটাই কাতর হয়ে যান যে এরপর থেকে আর সামাজিক মাধ্যমেও আসেননি তিনি।

অবশেষে আজ (৪ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ফেসবুক দেয়ালে দেখা মিলল ঐশীর। বাবা এবং নিজের সামনের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।

পোস্টের শুরুতে সবাইকে সালাম জানিয়ে ঐশী লিখেছেন, ‘জীবন থেমে থাকে না। দ্য শো মাস্ট গো অন’।

এরপর বাবার জন্য দোয়া চেয়ে লেখেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে অনেকেই বার্তা পাঠিয়েছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার বাবার জন্যে দোয়া করবেন সবাই। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন। আমিন।’

ঐশী জানিয়েছেন, ‘ঈদের পর থেকে নিয়মিত স্টেজ শোসহ অন্যান্য সকল কাজে সচল থাকব ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন আমি যেন আমার আব্বুর সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। আমি এবং আমার পরিবার যে কি হারিয়েছি সেটা বোঝার ক্ষমতা কারোর নেই৷ তারপরও এই সময়ে কিছু মানুষকে অনেক আপন করে পাশে পেয়েছি, যাদের প্রতি আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। আমার এবং আমার পরিবারের জন্যে দোয়া করবেন সবাই।’

এই গায়িকা আরও যোগ করেন, ‘আব্বু সব সময় কাজকে এক নম্বর প্রায়োরিটিতে রাখতেন। জীবনের সব কিছু একদিকে আর কাজ একদিকে। আমিও এটাই শিখেছি আব্বুর কাছে। আব্বুর আদর্শকে সাথে রেখেই আমি কখনো কাজকে না করি না এবং করবো না। আমি কাজ করবো কি করবো না এই ভেবে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। কাজ আমার কাছে সবার আগে৷ কাজের মাঝে থাকব এবং চেষ্টা করব আব্বুর আমাকে নিয়ে দেখা সব স্বপ্ন পূরণ করতে।’

পোস্টে বাবার সঙ্গে হাতপাতালের একটি ছবি দেন ঐশী। যেখানে দেখা যাচ্ছে তার বাবা হাসতাপালের বিছানায় শুয়ে আছেন। আর ডাক্তার ঐশী রোগী বাবার হাত দেখছেন। বিষয়টি তুলে ধরে ঐশী লেখেন, ‘এই ছবিটা তোলার সময় আব্বু বলছিলেন- মেয়ে যখন ডাক্তার, বাবা তখন রোগী- এটা লিখে একটা স্ট্যাটাস দিতে।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ অ্যালবাম দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী। এরপর থেকে দিন যত গেছে এই অঙ্গনে ততই নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন নোয়াখালীর এই কন্যা। সেরা গায়িকা হিসেবে ঘরে তুলেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাবার স্বপ্ন পূরণে পাস করেছেন এমবিবিএসও।

আরআইজে