ভার্সিটি থেকে একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে সাতজনের একটি দল কক্সবাজারে ঘুরতে আসে। কিন্তু শিক্ষকের কঠোর নিয়ম-কানুনের কারণে তারা কেউ মনমতো মজা করতে পারে না। ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে ঘোরা যাবে না, মেয়েরা তাকে (শিক্ষক) ভাইয়া বলে ডাকবে, আর ছেলেরা ডাকবে স্যার। এসব নিয়ম যে ভাঙবে, তাকে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে; এমন ভয় দেখান শিক্ষক।

কিন্তু নিয়ম মানতে রাজি নন মাহিন। নিজে নিয়ম ভাঙার পাশাপাশি অন্যদেরও একাত্ম করার চেষ্টা করে। এদিকে ঘুরতে আসাদের মধ্যে আছে সেঁজুতিও। যাকে মাহিন আগে থেকেই ভালোবাসত।

একপর্যায়ে শিক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় মাহিন ও সেঁজুতি। নিজেদের মতো ঘুরতে থাকে। এদিকে বেকায়দায় পড়ে যান শিক্ষক। সেঁজুতির বাবা ফোন করে মেয়ের খোঁজখবর জানতে চান। কিন্তু শিক্ষক সদুত্তর দিতে পারেন না। কারণ সেঁজুতি ও মাহিন দু’জনেই তাদের মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন। হঠাৎ খবর আসে, সেঁজুতির বাবা স্ট্রোক করেছে। তাৎক্ষনিক ছুটে আসে ভ্রমণ দলের কাছে।

নাটকের দৃশ্যে ফারিয়া ও মনোজ

এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে নাটক ‘লাভ জার্নি’। সেজান নূরের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা। এতে মাহিন ও সেঁজুতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক ও শবনম ফারিয়া।

তারা ছাড়াও আছেন সাইফ খান, নওশীন মেঘলা, অর্নব চৌধুরী, ঊর্মিলা তালুকদার, আবিসা জাহান প্রমূখ। আসন্ন রোজার ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮টায় একুশে টেলিভিশনে প্রচার হবে নাটকটি।

কেআই