‘ফ্লপ ছবি’ তালিকাতেও সম্ভবত এর আগে কোনোদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। ছবি মুক্তি পাওয়ার অষ্টম দিনে সারা দেশের মাত্র ৮ টিকিট বিক্রি হয়েছে, যার ফলে আয় মাত্র ৪ হাজার ৪২০ টাকা! বলছি কঙ্গনা রানাউতের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধাকড়’- এর কথা। 

গত এক সপ্তাহে আয় করেছে মাত্র ৩ কোটি। এরকম অবস্থা সম্ভবত বলিউডে প্রথম সারির তারকার ক্ষেত্রে আর ঘটেনি। ধাকড়-এর শো টাইমে মাল্টিপ্লেক্স, প্রেক্ষাগৃহের টিকিট কাউন্টারের কর্মীদের প্রায় মাছি-মারা হাল!

ভিএফএক্সে ভরপুর যে অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা তৈরি করতে প্রযোজক-অভিনেত্রীর খরচ হয়েছে ৮০-৯০ কোটি টাকা। সেখানে এক-তৃতীয়াংশ তো দূরের কথা, বক্স অফিসে মুখই তুলতে পারেনি এই ছবি। বলাই বাহুল্য, ব্যবসার নীরিখে ‘ধাকড়’ একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

রজনীশ ঘাই পরিচালিত এই সিনেমায় কঙ্গনাকে দেখা গেছে এজেন্ট অগ্নির চরিত্রে। যার রিং-মাস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাঙালি অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। খলনায়কের অবতারে অর্জুন রামপাল। যদিও সিনে-সমালোচকদের তরফে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুটেছে ‘ধাকড়’-এর কপালে, তবে দর্শকরা সম্ভবত মুখ ফিরিয়েছেন কঙ্গনার অ্যাকশন ছবি থেকে।

ভারতে এক মানবপাচার ব়্যাকেট জাল ছড়িয়েছে। যার সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় এক কয়লাখনি থেকে। অন্ধকার জগতের সেই মানবপাচার ব়্যাকেটের মূলচক্রীকে শেষ করার আদেশ এসেছে অগ্নির কাছে। রিংমাস্টারের নির্দেশেই যে কাজে নেমে পড়ে। এই নিয়েই ‘ধাকড়’ ছবির গল্প।

প্রসঙ্গত, এর আগে ‘ধাকড়’ প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেছিলেন, “এই সিনেমা ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য যে একটা নতুন যুগের সূচনা করবে”। কারণ, এই প্রথমবার ভারতীয় সিনেমায় কোনো অভিনেত্রী স্পাই অ্যাকশন থ্রিলারের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। যে সুযোগের জন্য গোটা টিমকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিলিজের পরই বক্স অফিসের ব্যবসা করতে পারল না এই সিনেমা।

এসএম