অকালে চলে গেলেন গীতিকবি, লেখক ও পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বাপ্পী। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)।

দেওয়ান লালন আহমেদের গাড়ি চালক (পুলিশ সদস্য) আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্যারের প্রেশার লো ছিল। ডায়াবেটিস ১৮-তে উঠে এসেছিল। চোখের পলকে তিনি নেই।’ মৃত্যুকালে দেওয়ান লালন আহমেদের বয়স ছিলো মাত্র ৪৩ বছর।

জানা যায়, দেওয়ান লালন আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হলে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বাদ আসর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে দেওয়ান লালন আহমেদের মরদেহ রাজধানীর আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

দেওয়ান লালন আহমেদ প্রায় ৩০০টি গান লিখেছেন। ২০১৯ সালে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি। শেখ মুজিব, লালন, শিশুতোষ সবমিলিয়ে ছয়টি বইও লিখেছেন প্রয়াত এই পুলিশ সুপার।

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ২৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন লালন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি টুরিস্ট পুলিশ ঢাকার হেড কোয়ার্টারে লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া সেলের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়েসহ অনেক বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন দেওয়ান লালন আহমেদ। তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ। শোক জানিয়েছেন সংগীতশিল্পীদের অনেকেই।

আরআইজে