পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে ব্যয়বহুল ছবি ‘দিন-দ্যা ডে’। ছবিটির নায়ক অনন্ত জলিল ও নায়িকা বর্ষা প্রতিবন্ধী ভক্ত সোহেল রানার আমন্ত্রণে এবং দর্শকদের খোঁজ নিতে বগুড়ায় গেছেন।  বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে পৌঁছান তারা। সিনেপ্লেক্সে প্রবেশ করে নায়ক-নায়িকা দর্শকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, সেলফি তোলেন। 

এ সময় অনন্ত জলিল সাংবাদিকদের বলেন, এখন ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। সে কারণে দর্শক সিনেপ্লেক্সমুখী হচ্ছেন। কাহিনীনির্ভর ও ব্যয়বহুল সিনেমা ‘দিন-দ্যা ডে’ সারাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনেক সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ। ঢাকার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। 

আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত জলিল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন, তাতে আমি মনে কিছু করি না। আপনারা অনেক ভালো নিউজ করেছেন। অনেকেই আমাকে ভালো বলে, একজন মন্দ বললে কিছু যায় আসে না। মিথ্যা ঠিক না, একটা মিথ্যা ঢাকতে অনেকগুলো মিথ্যা বলতে হয়। 

পরে কিছু সময় অনন্ত ও বর্ষা দর্শকদের সঙ্গে তাদের অভিনীত সিনেমা দেখেন।

এর আগে হেলিকপ্টারে বগুড়ার কাহালুতে প্রতিবন্ধী ভক্ত সোহেল রানাকে (২৫) দেখতে এসেছিলেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা বর্ষা। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাদের হেলিকপ্টারটি উপজেলার কালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় অবতরণ করে। তাদের ভক্ত কাহালু উপজেলার নিমারপাড়া গ্রামের মোজামের ছেলে প্রতিবন্ধী সোহেল রানার মাধ্যমে খবর পেয়ে অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে একনজর দেখার জন্য অনেক আগে থেকেই কালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হয়। 

অনন্ত জলিল ও বর্ষার সঙ্গে অনেক আগে থেকেই সোহেল রানার পরিচয়। সেই পরিচয়ের সুবাদে অনন্ত জলিল ও বর্ষা এখানে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা তারা ছিলেন। 

সমবেত জনতার উদ্দেশে অনন্ত জলিল ও বর্ষা বলেন, গ্রামের মানুষ খুবই সহজ সরল। গ্রামের অপরূপ দৃশ্য দেখে আমরা সব-সময় মুগ্ধ হই। গ্রামের মানুষের ফলানো ফসলই বাঁচিয়ে রাখে শহরের মানুষকে।

এ সময় অনন্ত জলিল ও বর্ষা তার প্রতিবন্ধী ভক্ত সোহেল রানাকে দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বিদেশে তার সুচিকিৎসা করারও প্রতিশ্রুতি দেন। 

আরএআর