যখন যেমন প্রয়োজন, ক্যামেরার সামনে নিখুঁতভাবে সেই চরিত্র হয়ে যান অভিনেত্রী। ব্যক্তিজীবনেও কি তত বৈচিত্রময় রশ্মিকা মন্দনা? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের আসল রূপ নিয়ে ধরা দিলেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী।

বললেন, আমার ব্যক্তিত্বে এমন কিছু আছে যা পর্দায় দেখতে পান দর্শক। ওটাই আমি। আসলে নিজের মধ্যেই আছে সব কিছু। যখন যেমন দরকার ক্যামেরায় প্রকাশ করি। মূলের সঙ্গে মিল থাকে। আমি দর্শককে বোকা বানাতে চাই না।”

দক্ষিণী সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করলেও চলতি বছর ‘গুডবাই’ সিনেমা দিয়ে বলিউডেও ঢুকে পড়েছেন নায়িকা। হাতে আরও সিনেমার প্রস্তাব রয়েছে, যদিও এখন ফের দক্ষিণেই মন দিয়েছেন রশ্মিকা।  

যদিও কখনও পোশাক নিয়ে, কখনও স্বভাব নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে এই নায়িকাকে। সেসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন রশ্মিকা। কিন্তু নিন্দার ছায়া তাকে বার বার পেছনে টেনে নিয়ে যাক, চান না অভিনেত্রী। 

তার দাবি, আমায় সবাই বুঝবেন, এমন কোনো কথা নেই। সকলের ভালবাসা পাব, এমন আশাও করি না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালিয়ে যাবেন! 

চিত্রগ্রাহকদের প্রশংসা করে রশ্মিকা বলেন, আমি যেমন আমার কাজ করছি, ওরাও তো ওদের কাজ করছেন! আমাকে কয়েক সেকন্ডের জন্য হলেও হাসতে হবে, যাতে ছবিটা ওরা তুলতে পারেন। 

সম্প্রতি নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে যখন নিজের অভিনয়-সফরের বর্ণনা দিচ্ছিলেন রশ্মিকা, এসে পড়েছিল প্রথম সিনেমা ‘কিরিক পার্টি’র কথা। যে সিনেমা করেই রাতারাতি ‘তারকা’ হয়ে যান রশ্মিকা। এ দিকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রযোজনা সংস্থার নামটুকুও নিলেন না? এতেই খেপে যান সংস্থার সদস্যরা। তার জেরে রশ্মিকার সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছিল কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।  

ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে রশ্মিকার উত্থান ছিল নজরকাড়া। অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে তার একাধিক সিনেমা সুপারহিট হয়। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় রশ্মিকা-বিজয় জুটি। পর্দার বাইরেও তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যদিও তা নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। 

এনএফ