কলকাতার টিভি পর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ‘প্রজাপতি’ সিনেমাতে। এতে মালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রতিদিন তাকে ‘সোহাগ জল’ সিরিয়ালে জুঁইয়ের চরিত্রে দেখেন দর্শক। অভিনয়টা তিনি শখের বসে করেন না বরং প্রয়োজনেই করেন। সম্প্রতি কলকাতার একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী।

‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’— অবস্থা ছিল নায়িকার পরিবারে। বলা যায়, অনেকটা অভাবেই বড় হয়েছেন শ্বেতা। ওইদিকে বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ। তাদের চিকিৎসাভার বহন করতে হয় তাকেই। তাইতো টিভি সিরিয়ালের পাশাপাশি ‘মাচা শো’ গুলোতেও নিয়মিত হাজির থাকেন অভিনেত্রী। তাতে রোজগারটাও বাড়ে। লুকোছাপা না করে সরাসরিই বলে দিলেন, সিনেমার মতো রঙিন নয় তার জীবন।

তার কথায়, ‘সত্যি বলতে মাচা করতে একদমই ভালোবাসি না। আসলে আমার মাথার ওপরে অনেক দায়িত্ব। রোজগার বেশি হবে বলে মাচা করি।’ এছাড়া কাজে থাকলে অবসাদ থেকে দূরে থাকেন বলেও জানান তিনি।

অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রোজগার যখন বাধ্যতামূলক হয় তখন অনেক সময় প্রলোভনে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে কি না? শ্বেতার জবাব, এখনও এমন কোনো সিদ্ধান্ত এমন নিইনি যে, পরে অনুশোচনা হতে পারে। সিনেমা বা শুটিংয়ের জন্য হলেও ছোট খোলামেলা পোশাক পরি না, হাতকাটা জামা পরি না। এগুলো আমার আগে থেকেই বলা থাকে। কাজের প্রয়োজনে আমি ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না।’