মুষড়ে পড়েছেন অভিনেতা ম ম মোর্শেদ
শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এরপর সেটি গড়ায় হুমকি-ধমকিতে এবং পরবর্তীতে মারামারি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন অভিনেতা ম ম মোর্শেদের দুই ছেলে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন অভিনেতা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ম ম মোর্শেদের ছোট ছেলে ম ম রাজ্য দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ৩১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তারই সহপাঠী সাইফুল আলম ও আল-শাহরিয়ারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা কলেজের বাইরে মারধর করবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে রাজ্য বিষয়টি তার বড় ভাই ম ম পৃথ্বীকে ফোন করে জানায়।
বিজ্ঞাপন
পৃথ্বী তার তিন বন্ধুকে নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে রাজ্যকে নিতে আসেন। বাসায় ফেরার পথে সাইফুল, আল–শাহরিয়ারসহ ৮– ১০ জন রড, লাঠি, রামদা নিয়ে পথ অবরোধ করে ও এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে হাতে থাকা স্বর্ণের ব্রেসলেট নিয়ে যায় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আক্রমণকারীরা। সর্বশেষ তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়।
গুরুতর অবস্থায় সেদিনই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ম ম মোর্শেদ বলেন, ‘আমার ছেলে ও তাদের বন্ধুরা এখনও মানসিকভাবে ঘোরের মধ্যে রয়েছে। কয়েক দিন ধরে ছেলেদের জ্বরের সঙ্গে বমি হচ্ছিল। অবস্থা সিরিয়াস।’
বিজ্ঞাপন
এখনও পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় অনেকটাই মুষড়ে পড়েছেন অভিনেতা। ম ম মোর্শেদ বলেন, ‘গত পাঁচ দিনে মানসিক অবস্থা এমন, মনে হচ্ছে আমি বুড়ো হয়ে গেছি। এখন দুই–তিন ঘণ্টা করে ঘুম হয়। বেশির ভাগ সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না।’
মামলা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানান অভিনেতা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। ম ম মোর্শেদের কথায়, ‘বন্ধু–সহপাঠীদের মধ্যে দুকথা হতেই পারে। সেখানে বহিরাগত দিয়ে আক্রমণ করানো হলো, একজনের ১১টি দুজনের ১টি করে সেলাই লেগেছে। এই হামলা কোনো সাধারণ হামলা নয়।’