শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে। এর মাঝে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে চরম ট্রোলের মুখে পড়েন তিনি। সাম্প্রতিক এই সমালোচনা ও ঝামেলার প্রভাব পড়েছে তার নতুন ছবি ‘আর্চির গ্যালারি’-এর ওপরও। বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি।

নতুন এই ছবির প্রিমিয়ারের দিনেও ইডির পক্ষ থেকে ডাক পড়েছে বনির। এবার দুর্নীতি ইস্যু, ছবির ব্যর্থতা, পারিশ্রমিক, সমালোচনা সব বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। জানালেন, অন্যায় করেননি, ভুল করেছেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই সময়কে জানালেন নানান কথা। দুর্নীতির টাকায় গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে বনি বলেন, ‘বাংলা বিনোদন জগতে কাজে আসার পর অনেক সময়ই চুক্তি ছাড়া কাজ করেছি। এই বিষয়টাতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু এখন অনুভব করলাম এবার থেকে কাজ করলে চুক্তি করা ভীষণই জরুরি। নামী প্রযোজক ছাড়া নতুন প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ করলেও ভালো করে আগে খোঁজখবর নিতে হবে।’ তার কথায়, ‘কিন্তু সবার বিষয়ে তো সঠিক তথ্য বের করা মুশকিল।’

মামলায় নাম জড়ানোয় কোনো আতঙ্কে আছেন কিনা। এমন প্রশ্নে বনির জবাব, ‘ভয় নয়, নার্ভাস ছিলাম। আমি কোনো অন্যায় করিনি, ভুল করেছি। কৌশানি, বাবা-মা সবার সঙ্গে আলোচনা করে কী করে এই সমস্যা থেকে বের হব সেটাই খালি ঠিক করার ছিল। আমার নাম যাতে খারাপ না হয় সেটার জন্যই এটার দরকার ছিল। মাঝখান থেকে আমার আর্থিক ক্ষতি হলো।’

নিজেকে ইন্ডাস্ট্রির ‘লিডিং মোস্ট অ্যাক্টর’ বলায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বনিকে। এ বিষয়ে অভিনেতার সাফ উত্তর, ‘বাংলা ছবির সঙ্গে জড়িত অভিনেতাদের এখন ছোট করে দেখার চল হয়েছে। মনে করা হয় তারা যেন বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারেন না।’

তিন আরও যোগ করেন, ‘একজন তো বললেন একটা গাড়ির যা দাম তাতে নাকি একটা ছবি হয়ে যায়। জানি না কীভাবে একটা বাংলা ছবি ৪০ লাখ টাকায় হতে পারে। ইন্ডাস্ট্রির তত দিন উন্নতি হবে না যত দিন না বাংলা ছবিকে বড় জায়গায় দেখা হবে। সমস্ত শিল্পীদের ভালো বা খারাপ সময়ে এক জোট হওয়া দরকার টলিউডে।’

জানা গেছে, চলতি মাসের ২৬ মার্চ থেকেই একটি নতুন ছবির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। ধকল কমাতে ছবিটির শুটিং এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন বনি।