দেশের প্রতিটি ঘরেই শিশুরা এখন স্মার্টফোনে কার্টুন বা গেমস খেলায় আসক্ত। শিশুদের এই আসক্তির বাস্তবচিত্র ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে এক বিজ্ঞাপনে। সন্তানের এ আসক্তির দায় আসলে কতটা বাবা-মায়ের বা তার পারিপার্শ্বিকতার। সে বিষয়টিই আবার আলোচনায় এসেছে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের মাধ্যমে। 

‘যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না’- আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এক শিশুর এমন শপথের বিজ্ঞাপনচিত্রটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। এটি এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিকস ক্যাপ্টেন বাইকের। এ পর্যন্ত ফেসবুকে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বিজ্ঞাপনটি দেখেছে।

এখন কথা বলা তো বটে, ব্যবসায়িক এবং বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। বড়দের মতো শিশুরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছে স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা রয়েছে।

গবেষণা অনুযায়ী প্রতিদিন দীর্ঘসময় ধরে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে ক্ষতিকর রেডিয়েশনের কারণে চিন্তাশক্তি হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এমনকি মস্তিষ্কের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

দীর্ঘ লকডাউনের সময় দেশের বেশিরভাগ পরিবারের শিশুদের হাতে খেলনার পরিবর্তে এখন স্মার্টফোন দখল করে নিয়েছে। এ কারণে মানসিক বিকাশ, সঠিক শারীরিক গঠন এবং রিফ্রেশমেন্টের জন্য শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলায় উৎসাহিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। 

প্রতিটি বাবা-মার উচিত শিশুদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো এবং ওদের শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ে এমন খেলনা কিনে দেওয়া। এ ভাবনা থেকেই ক্যাপ্টেন বাইক নিয়ে গণসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছে বলে জানা গেছে।

এমআরএম